টলিউডের নায়িকাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হতে পারে না। এই মিথকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এবং নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। প্রায় একই সময়ে বড়পর্দায় পা রাখা এই দুই নায়িকার গলায় গলায় বন্ধুত্ব এক সময় ছিল টক অফ দ্য টাউন। একই সঙ্গে একই রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদও হন দুজনে। একে অপরের সঙ্গে ‘বোনুয়া’ সম্পর্ক পাতিয়েছিলেন তাঁরা। নুসরত বিদেশে কোথাও শুটিং করতে গেলে সারপ্রাইজ দিতে পৌঁছে যেতেন মিমি। এমনকি নিখিল জৈনের সঙ্গে নুসরতের বিয়েতেও সবসময় সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর বোনুয়াকে।
কিন্তু হঠাৎ করেই একসময় হয় ছন্দপতন। নেটিজেনরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করে, নুসরত মিমির মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। আগের মতো একে অপরের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তাঁরা আর খুনসুটি করেন না। একসঙ্গে দেখা তো দূর অস্ত। কীভাবে হল এমনটা? কেনই বা দূরে সরে গেলেন মিমি নুসরত? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমির বলা কিছু কথায় সেই কারণেরই আভাস খুঁজে পেলেন নেটিজেনরা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমি নিজের সম্পর্কে বলেন, তাঁর একটি অভ্যাস রয়েছে। তিনি মুখের উপরে সত্যি কথা বলে দেন। ছোট থেকেই এই স্বভাব রয়েছে তাঁর। কিন্তু সত্যি কথা বলা আর বিশেষ করে মুখের উপরে সত্যি বলা সহজ নয়। অনেকেই বিষয়টা মেনে নিতে পারেন না। অভিনেত্রী বলেন, এমন অনেক বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন হয় যারা বলেন যে মুখের উপরেই সত্যি কথা বলে দিতে। কিন্তু সত্যিটা শুনলে তারা আর মানতে পারে না।
মিমি বলেন, এমনটা তাঁর সঙ্গেই ঘটেছে বাস্তব জীবনে। এর ফলে সম্পর্ক খারাপ হয়। তাই অনেক সময় মন চাইলেও সত্যি কথাটা বলা যায় না। বিশেষ করে অভিনেত্রী বলেন, তিনি নিজে এখন সুখের থেকে স্বস্তি বেশি খোঁজেন। তাই সবসময় চাইলেও সত্যি কথাটা বলে দিতে পারেন না। এতটা শুনেই নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছেন, বাস্তব জীবনে নুসরতের সঙ্গে নিজের সম্পর্কের অবনতির কারণ নিয়েই পরোক্ষ ভাবে কথা বলেছেন মিমি। সম্ভবত এই কারণেই বন্ধুত্ব ভাঙে তাঁদের। তবে এই বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি মিমি।