রাজনীতির (Politics) থেকে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন অভিনেতা দেব (Dev)। তৃণমূলের (Trinamool Congress) তরফে প্রার্থী হয়ে দু বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন টলিউড অভিনেতা। কিন্তু কিছুদিন আগেই আচমকা এক বড় সিদ্ধান্ত নেন দেব। ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তাঁর ভোটে দাঁড়ানো নিয়েও শুরু হয় জল্পনা। সেদিকে নিশ্চিন্ত হতেই এবার বোমা ফাটালেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তরফে যাদবপুর কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন মিমি। প্রথম বারেই জয় পান তিনি। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্য সুর মিমির গলায়। তিনি স্পষ্ট জানান, আর ভোটে দাঁড়াতে চান না তিনি। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মিমি বলেন, তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান না। সংবাদ মাধ্যম যেন একথা গোটা গোটা হরফে লিখে দেয়। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী?
মিমির কথায়, ‘আমরা তো অভিনেতা। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে এখানে আসি। কিন্তু আমার মনে হয়, রাজনীতিতে আসলে একটা সময় ওই ভালোবাসাটাও ভাগ হয়ে যায়’। তবে তিনি এও বলেন, শেষমেষ দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ঠিক করবেন। উনিই সুপ্রিমো। উল্লেখ্য, এর আগে দেবের প্রার্থী হওয়া নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, দলের কাছে একটিই শর্ত রেখেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি মতো, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হবে। তাই আবারো প্রার্থী হবেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন দেব।
প্রসঙ্গত, সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি টলিউডেরও প্রথম সারির অভিনেত্রী মিমি। নিজের জীবনে অনেক চড়াই উৎরাইয়ের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। খ্যাতির শীর্ষ থেকে সাইডলাইন হয়েছেন, আবার শীর্ষে উঠেছেন। কোনো রকম রাখঢাক না করেই অভিনেত্রী বলেন, তাঁর এই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাকআপ দেওয়ার মতো কেউ ছিল না। না কোনো গডফাদার, না স্বামী না প্রেমিক, যে বলবে যে তাঁর কাছে চারটি ছবি রয়েছে। বসে বসে কাজ দেওয়ার মতো কেউ নেই। তিনি নিজের জোরে এই জায়গায় এসেছেন।
View this post on Instagram