সিনে পাড়ায় প্রায় দীর্ঘ ১২ বছরের যাত্রা। ঋতুপর্ণ ঘোষের মিমি এখন সাংসদ এবং একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। অথচ, এই অভিনেত্রীর জায়গা হলো না ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। তার লেটার বক্সে নিমন্ত্রণ পত্র এলেও ইন্ডাস্ট্রির কেউই তাকে ফোন বা মেসেজ করে কিছুই জানাননি, অন্তত এমনটাই বলেছেন মিমি। এর পিছনে ঠিক কোন কারণ কাজ করছে সেইসব নিয়ে মিমি একেবারেই চিন্তিত নন, তিনি চান ইন্ডাস্ট্রির সকলে একসঙ্গে কাজ করুক। নিজেকেও এক্সপ্লোর করতে চান। মুম্বাই হোক বা টলিগঞ্জ সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
হওয়ায় কথা বলতে পছন্দ করেন না মিমি। লজিক ও প্রমাণ সহ কথা বলতে পছন্দ করা মেয়ে সপাটে বলে আমার কোনো গড ফাদার নেই ইন্ডাস্ট্রিতে। তাহলে কি অন্যদের আছে? নাহ্, এই নিয়ে তিনি চিন্তিত নন এবং কোনো শব্দ ব্যয় করতেও চাননা। তবে নিজের কাজ ও কেরিয়ার নিয়ে এতটুকু জায়গা ছাড়তে নারাজ মিমি।
অভিনেত্রী, মিমি র কথায়, তার বিপরীতে কোন নায়ক আছে সেটা ইম্পর্ট্যান্ট নয়। তিনি বরাবর নিজের চরিত্র ও কাজকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই তার বিপরীতে নতুন বা পুরোনো যাই মুখ থাকুক না কেন নিজেকে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব মিমি নিজেই নিয়েছেন।
View this post on Instagram
সম্প্রতি, নতুন ছবি মিনি’র প্রচারে এসেছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সদ্য মুক্তি পেয়েছে মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত ‘মিনি’। এই গল্প হল মাসি ও বোনঝি র সম্পর্কের মিষ্টি রসায়নের। মায়ের অবর্তমানে আনাড়ি হয়েও বোনঝিকে মায়ের জায়গা দেওয়ার লড়াই দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। এটি কোনো কমার্শিয়াল ফিল্মের নায়ক নায়িকা প্রেম অ্যাকশন এর কাহিনী নয়। কেবলমাত্র নারী কেন্দ্রিক ছবি হল মিনি। ইতিমধ্যে, বহু প্রশংসা পেয়েছেন মিমি ও গোটা টিম। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও মুম্বাই গিয়ে কাজ করে এসেছেন মিমি। তার কাছে এই নিয়েও কোনো বিভেদ নেই। মিমি র কথায় তার কাছে টালিগঞ্জ যেমন মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিও তেমনই। জলপাইগুড়ির মেয়ে মিমির কাছে মোস্ট ইম্পর্ট্যান্ট থিং হলো – নিজেকে এক্সপ্লোর করা ও ভালো কাজ করা, কোনো রকম গড ফাদার ছাড়াই।