Hoop PlusTollywood

Mimi Chakraborty: বাংলা ফিল্মের নায়িকাদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তাতে সংসার চলে না: মিমি

2 রা ডিসেম্বর, শুক্রবার মুক্তি পেল মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) অভিনীত ফিল্ম ‘খেলা যখন’। ‘খেলা যখন’ একটি থ্রিলার ফিল্ম। ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন অরিন্দম শীল (Arindam Shil)। ‘খেলা যখন’-এ মিমির বিপরীতে অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty)। প্রথমবার মিমি-অর্জুন জুটির আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ‘গানের ওপারে’-তে। বিখ্যাত এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেলেও ‘গানের ওপারে’ জুটির রসায়ন দর্শকদের চোখে এখনও অনবদ্য। তবে শুক্রবার ও বাকি সপ্তাহান্তের রিপোর্ট উত্তর দেবে, বড় পর্দায় তা আগের মতোই ম্যাজিক দেখাতে পারবে কিনা!

 

View this post on Instagram

 

A post shared by SVF (@svfsocial)

তবে মিমি মনে করেন, কেরিয়ারের যে পর্যায়ে তিনি রয়েছেন, তাতে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানেন, তিনি কতটা পরিশ্রমী। বছরে একগুচ্ছ বাজে ফিল্মে অভিনয়ের তুলনায় একটি ভালো ফিল্মে অভিনয় করাই পছন্দ মিমির। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, বক্স অফিসে ফিল্মের সঠিক ব্যবসা করাই জরুরী। এই কারণেই মিমি মনে করেন, কারও কথায় কান না দেওয়াই উচিৎ। কারণ জীবনটা তাঁর। চাবিকাঠি তাঁরই হাতে। প্রায় চার বছর আগে ‘খেলা যখন’-এর শুটিং শুরু হয়েছিল। কিন্তু দশ দিন শুটিংয়ের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবর্তন হয় চিত্রনাট্য। তা হাতে পাওয়ার পর বুঝতে পারেন মিমি। কাস্টেও আসে পরিবর্তন। বারবার পরিবর্তনের ফলে মিমি শেষ অবধি অরিন্দমকে বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, ফ্লোরে গেলেও তাঁর বিশ্বাস হবে না। ফিল্মের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে তবেই তিনি আনন্দ করবেন বলে জানিয়েছিলেন মিমি।

গত বছর অগস্ট মাসে ‘খেলা যখন’-এর শুটিং শেষ হওয়ার দেড় বছর পর ফিল্মটি মুক্তি পেল। ‘পোস্ত’-র পর আরও একবার এই ফিল্মে মিমিকে দেখা যাবে মায়ের চরিত্রে। তিনি মনে করেন, এই ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। এই কারণে তিনি কৃতজ্ঞ প্রযোজকের কাছে। মাত্র উনিশ-কুড়ি বছর বয়সে কেরিয়ার শুরু করলেও প্রথমেই সাতাশ-আঠাশ বছর বয়সী মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘বোঝে না সে বোঝে না’-য় ছিল বিপরীত মেরুর চরিত্র। পরিচালক-প্রযোজকরা বুঝতে পেরেছিলেন, মিমি ভার্সেটাইল। শ্রীকান্ত মোহতা (Shrikant Mohta) এসভিএফ-এর অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, নাচ-গানের দৃশ্যে মিমির সমস্যা আছে কিনা! মিমি বলেছিলেন, একদমই নয়।

অর্জুনের সাথে বেশ কয়েকটি কাজ করলেও তিনি মিমিকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করেন না। তবু পর্দায় তাঁদের রসায়ন যথেষ্ট ভালো। একসময় মিমিই অবশ্য অর্জুনকে জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁর কোনো সমস্যা আছে কিনা! কেন তিনি কথা বলেন না! এরপর অর্জুন মাঝেসাঝে মিমির সাথে আড্ডা দিতেন। তাও অবশ্যই আউটডোরে গেলে। ‘ধনঞ্জয়’-এর পর অরিন্দম শীলের সাথে ‘খেলা যখন’ মিমির দ্বিতীয় ফিল্ম। মিমির মতে, অরিন্দম যথেষ্ট মেথডিক্যাল পরিচালক। সেটে কোনোরকম চিৎকার করেন না। বাড়তি শট নেন না। শিল্পীরাও অরিন্দমের সাথে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ। তবে মিমির কাছে গল্প ও টাকাই আসল।

তিনি দেখেন, চিত্রনাট্যে তাঁর চরিত্র আদৌ গুরুত্ব পাচ্ছে কিনা! সহকর্মীর ভিত্তিতে চিত্রনাট্য বাছাই করেন না তিনি। বর্তমানে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়ে ফিল্মে অভিনয় করানোর ক্ষমতা কারও নেই। মিমির মতে, বাংলা ফিল্মের নায়িকাদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, তাতে সংসার চলে না। এই কারণেই ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্টের উপর ভরসা করেন মিমি। পশ্চিমবঙ্গে তিনিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট করেন। পাশাপাশি সাংসদ হিসাবেও নিজের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেন মিমি।

Related Articles