বংশরক্ষার জন্য শ্বশুরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলেন বৌমা, সাহসিকতার সীমা অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির নবতম সংযোজন হিসেবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর থেকে ধীরে ধীরে মানুষের মনে বিনোদনের ভোলবদল ঘটিয়েছে। আর করোনা অতিমারীর কারণে লকডাউন-এর সময় থেকে তা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। ফলে এখন ওটিটির বাজার চলছে রমরমিয়ে। প্রেক্ষাগৃহ খুলে গেলেও, ওটিটি মুক্তি নিয়ে দর্শকদের আলাদা আকর্ষণ থাকেই। ওটিটি মুক্তির দিক দিয়ে দেখতে গেলে ২০২২ সাল খুবই ভাল ফল করেছিল। ২০২৩-এর শুরুটিও তেমনই হয়েছে এবং আগামীতে এমন কিছু ধামকাদার ওয়েবসিরিজ মুক্তি পেতে চলেছে, যার জন্য মুখিয়ে আছেন আপনিও।
আর তেমনই একটি প্রত্যাশিত ওয়েবসিরিজ হল ‘মির্জাপুর’। আমাজন প্রাইম ভিডিওতে রিলিজ হওয়া এই সিরিজের প্রথম দুটি সংস্করণ ছিল সুপারহিট। এই থ্রিলারধর্মী সিরিজের গল্পের মূল চরিত্র হলেন অখণ্ডনান্দ ত্রিপাঠি ওরফে কালিন ভাইয়া, যিনি বহুমুখী এক মানুষ। একাধারে ফিনি কোটিপতি কার্পেট ব্যবসায়ী, অন্যদিকে তিনিই আবার মির্জাপুরের মাফিয়া ডন। তার ছেলে মুন্না হল অযোগ্য, ক্ষমতালিপ্সু উত্তরাধিকারী। সে তার বাহার উত্তরাধিকার লাভের জন্য যে কোনও কিছু করতে পারে। এক বরযাত্রায় সে গুলি করে বরকে খুন করলে তাকে আইনজীবী রামকান্ত পণ্ডিত ও তার দুই ছেলে গুড্ডু ও বাবলুর সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। কালিন ভাইয়ার তৎপরতায় গুড্ডু ও বাবলুর সাথে মুন্নার দ্বন্দ্বের সাময়িক অবসান হলেও পরবর্তীকালে তা বৃহৎ আকারে দাঁড়ায় যা একাধিক পক্ষের মধ্যে উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও ক্ষমতার লড়াইয়ে পরিণত হয়। বেশ কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে এই সিরিজে। তাই এটিকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্যাটাগরিতে রাখা হয়।
আর এই গল্প দিয়ে তৈরি প্রথম ও দ্বিতীয় সিজন মুক্তির পর প্রায় বছর দুই পেরিয়েছে।শুরু হয়েছে তৃতীয় সিজনের অপেক্ষা। তবে এই বছরই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে। চলতি বছরেই অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাবে ‘মির্জাপুর ৩’। যদিও মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়নি এখনও। তবে আলি ফজল সিরিজের শ্যুটিং শেষের কথা শেয়ার করেছিলেন। তাই এই বছর এই সিরিজের তৃতীয় সংস্করণের মুক্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই ওয়েবসিরিজের প্রথম সিজনে অভিনয় করেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি, শ্বেতা ত্রিপাঠি, দিব্যেন্দু শর্মা, আলি ফজল, বিক্রান্ত ম্যাসি, শ্রিয়া পিলগাঁওকর, রসিকা দুগল, হর্ষিতা গৌর ও কুলভূষণ খরবন্দা। এই সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে মাসে ও পিলগাঁওকর ব্যতীত বাকিরা রয়ে যায় এবং বিজয় বর্মা, ইশা তালওয়ার, লিলিপুট, আনজুম শর্মা, প্রিয়াংশু পাইনিয়ুলি, অনংশ বিশ্বাস ও নেহা সরগম প্রধান অভিনয়শিল্পী দলে যোগ দেন।