ট্রোলের মুখে মিশমি, দিলেন সাহসিকতার পরিচয়
বর্তমানের ট্রোলিং বিষয়টি বিভৎস জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। ইন্ধন যোগাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষত, টলি অথবা টেলিপাড়ার কোনো সদস্যা যদি ছোট জামাকাপড়ে ধরা দেন। ব্যাস, শুরু হয়ে যাবে ট্রোল। বডি শেমিং-এরও শেষ থাকবেনা। কিছুদিন আগে শুভশ্রী গাঙ্গুলিকেই এই ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছিল। এবার পড়তে হলো টেলিপাড়ার জনপ্রিয় মিশমি দাসকে।
বর্ষবরণ পালন করতে মিশমি গিয়েছিলেন গোয়া, বয়ফ্রেন্ড বিশাল ভনের সাথে। বিচে গিয়ে লাল-হলুদ বিকিনি পড়ে ওয়েস্টার্ন লুকে সেজে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। রোদ মাখছিলেন সারা শরীরে। বিভিন্ন পোসে ছবি তুলে শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। চোখে লেগেছে নেটিজিনের। ‘শুঁটকি মাছ লাগছে’, ‘এমা কি বাজে মেয়ে’ এইসমস্ত কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার হন অভিনেত্রী।
এতো কটাক্ষের মুখে পরেও সাহসী মিশমি বলে বসেন, ‘যত বেশি ট্রোল করবে তত বেশি বিকিনি পড়ে ছবি দেবো, গোয়ায় গিয়ে বিকিনি পড়েছি বলে এতো কিছু। মালদ্বীপে গিয়ে পড়লে হয়ত কিছুই হতোনা।’ থেমে না থেকে মুখ তোর জবাব দিয়ে রবিবার আবার একই ছবি পোস্ট করেন উনি। অনেকে তাঁর সাহসিকতার প্রশংসা করলেও আবারও ট্রোলের মুখে পড়তে হলো তাঁকে।
View this post on Instagram
ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘হ্যাপি সানডে’। কিন্তু তাঁর সানডে আর হ্যাপি হলোনা। আগের ছবিগুলিতে ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ বলে তাঁর বডি শেমিং করেছিল নেটিজন গোষ্ঠী। ‘ওজন বাড়াও শরীরের’ শুনতে হলো তাঁকে। তবে বেশ প্রশংসাও কোড়ালেন এই দ্বিতীয়বার, ‘টেলিপাড়ার তুমিই একজন নায়িকা যে বিকিনি পড়ে ছবি দিতে লজ্জা পাওনি।’ এবার দেখার বিষয় মিশমি দাসের পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে।