হাত কেটে রক্তারক্তি কান্ড! বাড়ি থেকে শুটিংয়ের খাতিরে একি করে ফেললেন ‘মিঠাই’
‘শুট ফ্রম হোম’-এর মাধ্যমে এমনিতেই বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে ‘মিঠাই’। তার উপর ‘শুট ফ্রম হোম’-এর শেষ দিনে ‘মিঠাই’-এর হাত কেটে রক্তাক্ত অবস্থা। বাড়ির লোক রীতিমতো চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন ‘মিঠাই’-কে নিয়ে।
কিন্তু পুরোটাই হয়েছে চিত্রনাট্যের চাহিদা মেনে। ‘মিঠাই’-এর আগামী পর্বের জন্য ‘শুট ফ্রম হোম’ থেকেই এই চিত্রনাট্যের দৃশ্যায়ণ হয়েছে। তবে এর জন্য নকল রক্ত বানাতে যথেষ্ট খাটতে হয়েছে ‘মিঠাই’ ওরফে সৌমিতৃষা কুন্ডু (soumitrisha kundu)-‘কে। সাধারণতঃ পর্দায় এই ধরনের দৃশ্য থাকলে মেকআপ আর্টিস্টরাই বিভিন্ন কেমিক্যালের সাহায্যে নকল রক্ত বানিয়ে দেন। কিন্তু সৌমিতৃষা বাড়িতে থাকায় তাঁর হাতের কাছে সেই সব কেমিক্যাল উপলব্ধ ছিল না
ফলে আয়রন টনিক, মধু ও সিঁদুর দিয়ে নকল রক্ত বানিয়েছিলেন সৌমিতৃষা। প্রথমে টমেটো সস মেশানোর কথা ভাবলেও পরে তাঁর মনে হয়েছে, সেটা বাড়াবাড়ি হয়ে যেতে পারে। তাই তিনি আর টমেটো সস মেশাননি। তবে ‘শুট ফ্রম হোম’ যে যথেষ্ট সমস্যাজনক তা জানালেন সৌমিতৃষা। ‘লকডাউন হুল্লোড়’ পর্বের শুটিংয়ে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে নাচ তুলে শুটিং করে পাঠাতে হয়েছিল তাঁকে। সেইসময় সৌমিতৃষা ঋতুমতী ছিলেন। শরীরে অস্বস্তি ও পেটে ব্যথা নিয়েই তাঁকে নাচের শুটিং করে জমা দিতে হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ে।
‘শুট ফ্রম হোম’-এ নিজেদের মেকআপ নিজেদেরই করতে হত বলে জানিয়েছেন সৌমিতৃষা। বাড়িতে শুটিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত আলো ও ক্যামেরার ব্যবস্থা না থাকায় ঘরের আলোয় মোবাইলে শুট করে পর্বগুলি পাঠাতে হত। শুটের সময় যাতে কোনো ‘এক্সটারনাল নয়েজ’ না আসে তার জন্য ফ্যান বা এসি বন্ধ রাখতে হত। ফলে ‘শুট ফ্রম হোম’ চলাকালীন সিরিয়ালগুলিতে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের রীতিমতো ঘর্মাক্ত অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ব্যতিক্রম নন সৌমিতৃষাও।
১৬ই জুন থেকে একগুচ্ছ করোনা বিধি মেনে শুটিং শুরু করার অনুমতি মিললেও ‘মিঠাই’ সহ কুড়িটি সিরিয়ালের বিরুদ্ধে লকডাউনের মধ্যেও বাইরে বেরিয়ে শুটিংয়ের অভিযোগ তুলেছে ফেডারেশন। তাঁদের এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ কোথা থেকে এল তা-ও জানতে চেয়েছে ফেডারেশন। ফলে শুটিং শুরু হলেও ফেডারেশন থেকে ওই সিরিয়ালগুলির জন্য নতুন কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না। সিরিয়ালগুলির বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।