বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)-র শেষকৃত্যে উপস্থিত না থাকার জন্য কয়েকদিন আগেই সমালোচিত হয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। বলিউডের সুপারস্টার মিঠুনের স্টারডম এসেছিল বাপ্পীর হাত ধরেই। কিন্তু স্টারডমের পাশাপাশি একাকীত্ব ঘিরে ধরেছিল মিঠুনকে।
বলিউডের মিঠুনের স্টারডম রাতারাতি প্রমাণ করেছিল, বাঙালিও পিছিয়ে নেই। বাঙালি জাতির গর্ব হয়ে উঠেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর গ্ল্যামার ছিল নজর কাড়া। কিন্তু স্টারডমের মাধ্যমেই এসেছিল একাকীত্ব। ভারতের নাম্বার ওয়ান সুপারস্টার হওয়ার সময়ের কথা বলতে গিয়ে মিঠুন জানিয়েছেন, এক নম্বর তারকা হয়েও সেই সময়গুলি নিজেকে একাই কাটাতে হয়েছে। আশেপাশে কেউ আসত না। সবাই বলত, দাদার কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ তিনি এখন অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছেন। এমনকি মিঠুনের সাথে বন্ধুদেরও দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। খুব অদ্ভুত একটা পরিবেশ তৈরি হয়ে গিয়েছিল মিঠুনের চারিদিকে।
View this post on Instagram
মিঠুন রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে শুটে যেতেন। শুট থেকে বাড়ি ফিরে একাই সময় কাটাতে হত। জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেও একাকীত্ব ভোগ করতে হয়েছিল। তবে গত কয়েক দশক ধরে বলিউডে নিজের স্থান ধরে রাখতে সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন মিঠুন। দক্ষতাকে আরও দক্ষ করে তুলেছেন। তাঁর মতে, একজন প্রকৃত ভালো মানুষের প্রতিভা থাকলে তার উন্নতি কখনও আটকানো যায় না। ইন্ডাস্ট্রিতে বেঁচে থাকতে হলে প্রতিভা ও দক্ষতার প্রয়োজন। কিন্তু মনের দিক থেকে ভালো না হলে স্টারডম মাটিতে মিশে যেতে বাধ্য।
1976 সালে মৃণাল সেন (Mrinal Sen) পরিচালিত ফিল্ম ‘মৃগয়া’-র মাধ্যমে অভিনয় জগতে আসেন মিঠুন। এই ফিল্মে শ্রেষ্ঠ অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও বলিউডে পায়ের তলার মাটি তৈরি করতে তাঁকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। ‘ডিস্কো ডান্সার’ ফিল্মটি মিঠুনকে সুপারস্টার বানিয়ে দেয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে মুক্তি পেতে চলেছে মিঠুন অভিনীত ফিল্ম ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। অপরদিকে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘বেস্টসেলার’।
View this post on Instagram