গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী (Gauranga Chakraborty) আদৌ কখনও ভাবেননি, মুম্বই অর্থাৎ তৎকালীন বম্বেতে ভাগ্য পরীক্ষা করতে যেতে হবে তাঁকে। কিন্তু তৎকালীন কলকাতার বুকে ঘটনার মোড় হঠাৎই আচমকা ঘুরে গেল। গৌরাঙ্গকে চলে যেতেই হল বম্বে। কিন্তু ঘটনাটি কি ঘটেছিল, তা অনেকে জানেন, অনেকে নয়। কিছু কথা অতীতেই থেকে যাওয়া প্রয়োজন। বম্বের মাটি গৌরাঙ্গকে করে তুলল মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। কিন্তু বাংলার মাটিতে ‘মৃগয়া’-য় অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর বম্বের প্রযোজক-পরিচালকরা মিঠুনকে ফিল্মে অভিনয়ের সুযোগ দিতে চাইতেন না।
এক শ্রেণীর প্রযোজক-পরিচালকদের মনে হত, জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী নায়ক মিঠুন হয়তো প্রচুর টাকা পারিশ্রমিক চাইবেন। অনেকের মনে হত, হয়তো মিঠুন আদৌ বলিউডের বড় পর্দায় অভিনয়ের যোগ্য নন। এমনকি জিতেন্দ্র (Jeetendra) বলেছিলেন, মিঠুন নায়ক হতে পারলে তিনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন। এরপর আরব সাগর দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রচুর জল। সুপারস্টার হয়েছেন মিঠুন। আন্তর্জাতিক স্তরে সুপারহিট ‘জিমি জিমি’। ‘ডিস্কো ডান্সার’ মিঠুন সেট করে দিয়েছেন নৃত্যশৈলীর নতুন ট্রেন্ড। ওয়েব সিরিজেও তিনি সফল। রাজনৈতিক মতভেদের কারণে বর্তমানে মিঠুন অনেকের চক্ষুশূল। কিন্তু বাংলা ফিল্ম ‘প্রজাপতি’ আবারও ভুলিয়ে দিয়েছে সব হিসাব।
View this post on Instagram
এরপর থেকে আবারও মিঠুনকে ঘিরে ফিরেছে বাঙালির নস্টালজিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রায়ই ভার্চুয়ালি ছড়িয়ে পড়ছে তাঁর বিভিন্ন বয়সের ছবি। কিছু অদেখা ছবিও রয়েছে তাঁর মধ্যে। এই ছবিগুলির মধ্যে একটি সাদা-কালো ছবি ইদানিং খুব ভাইরাল হচ্ছে। সেই ছবিতে সদ্য গোঁফের রেখা ওঠা এক শ্যামবর্ণ কিশোর যার দুই চোখ ঘিরে রয়েছে অনেক স্বপ্ন।
গায়ের রঙের জন্য যখন কাজ পেতেন না মিঠুন, নাচই ছিল তাঁর উপার্জনের মাধ্যম। ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মহাগুরু আজও ভোলেননি সেই লড়াইয়ের দিনগুলি। তবে অশ্রুসজল হয় না তাঁর চোখ। কারণ মিঠুনই হেসেছেন বিজয়ের হাসি।
View this post on Instagram