Hoop PlusTollywood

Projapoti: খেল দেখালেন ‘মহাগুরু’, বিতর্কের মাঝেই শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার উঠলো মিঠুনের হাতে

বিতর্কের মাঝেই বড়সড় সাফল্য পেল ‘প্রজাপতি’। নতুন বছরের নতুন সাফল্যের শিরোপা উঠে এল মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakroborty) মুকুটে। বাংলা সিনেমা জগতের সুপারস্টারদের হেলায় হারিয়ে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন বাংলার এই ‘ভেটেরান’ অভিনেতা। ‘প্রজাপতি’ ছবির জন্য WBJFA সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান তিনি। তাঁর এই সাফল্যে খুশি গোটা ‘প্রজাপতি’ টিম। দাদার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করলেন অভিনেতার দেব (Dev)।

রবিবার বসে গতবছর অর্থাৎ ২০২২-এ বিনোদন জগতের এড়ার সেরাকে বেছে নেওয়ার আসর। অভিনেতা থেকে একটি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত প্রায় সকলকেই পুরস্কৃত করে করে WBJFA। আর এই মঞ্চেই সেরা অভিনেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হল মহাগুরুকে। যদিও বাছাই পর্ব ছিল যথেষ্ট কঠিন। কারণ এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন একাধিক সুপারস্টার। ‘প্রজাপতি’ ছবির জন্য মিঠুন চক্রবর্তীর পাশাপাশি ‘কিশমিশ’ ছবির জন্য দেব, ‘কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন’ ছবির জন্য আবির চট্টোপাধ্যায়, ‘রাবন’ ছবির জন্য অভিনেতা জিৎ মনোনীত হন এই পুরস্কারের জন্য। তবে শেষমেষ বাজিমাত করলেন মহাগুরুই। গতকাল তার অনুপস্থিতিতে এই পুরস্কার গ্রহণ করলেন অভিনেতা দেব। পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি বলেন, ‘এই পুরস্কার নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই’।

শুরু থেকেই এই ছবি নিয়ে বিতর্ক ছিল তুঙ্গে। নন্দনে ছবিটিকে জায়গা না দেওয়ায় এটিতে লাগে রাজনৈতিক রং। বিজেপির নিশনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। মিঠুন চক্রবর্তী ব্যক্তিগতভাবে বিজেপি কর্মী হওয়ায় তার ছবি স্থান পেল না নন্দনে, এই অভিযোগে সরব হয় গেরুয়া শিবির। পাল্টা জবাব দেওয়া হয় শাসক দলের তরফেও। যদিও পুরো বিষয়টিকে একাহাতে সামলে নেন অভিনেতা দেব। তারপর এই পুরস্কার পেয়ে যথেষ্ট খুশি সকলেই।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Dev Adhikari (@imdevadhikari)

এবচর জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হল ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়কে। বেস্ট সাউন্ড ডিজাইনার পুরস্কার পেলেন প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রোহিত সেনগুপ্ত (দোস্তোজী), অনিন্দিত রায় ও অদীপ সিং মাঙ্কি (বল্লভপুরের রূপকথা)কে। বেস্ট ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করলেন দেবজ্যোতি মিশ্র (অপরাজিত)। বেস্ট এডিটর পুরস্কার পেলেন সংলাপ ভৌমিক (বল্লভপুরের রূপকথা)। বেস্ট সিনেমাটোগ্রাফারের যুগ্ম বিজেতা ঈষাণ ঘোষ (ঝিল্লি), তুহিন বিশ্বাস (দোস্তোজী)। বেস্ট আর্ট ডিরেক্টর হলেন আনন্দ আঢ্য (অপরাজিত)। যুগ্মভাবে বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার (মেল) অরিজিৎ সিং (ভালবাসার মরশুম) এবং সপ্তক সানাই দাস (সিন্ড্রেলা মন)। বেস্ট প্লেব্যাক সিঙ্গার (ফিমেল): শ্রেয়া ঘোষাল (ভালবাসার মরশুম)। বেস্ট কস্টিউম ডিজাইনার শুচিস্মিতা দাসগুপ্ত (অপরাজিত)। বেস্ট মেক আপ  সোমনাথ কুণ্ডু (অপরাজিত)। বেস্ট মিউজিক ডিরেক্টর: সপ্তক সানাই দাস (এক্স ইক্যুয়াল টু প্রেম)। বেস্ট লিরিসিস্ট: নীলায়ণ চট্টোপাধ্যায় (কিশমিশ) এবং বারিষ (ভালবাসার মরশুম)। বেস্ট স্ক্রিনপ্লে  শৈবাল মিত্র (এ হোলি কন্সপিরেসি), অনীক দত্ত, উৎসব মুখোপাধ্যায় ও শ্রীপর্ণা মিত্র (অপরাজিত)। সেরা অভিনেতা (কমিক) দেবরাজ মিত্র (বল্লভপুরের রূপকথা) ও খরাজ মুখোপাধ্যায় (প্রজাপতি)। সেরা অভিনেতা (নেগেটিভ রোল) চন্দন সেন (তীরন্দাজ শবর)। সেরা ছবি (পপুলার) কর্ণসুবর্ণের গুপ্তধন এবং প্রজাপতি। মোস্ট প্রমিসিং ডিরেক্টর অনির্বাণ ভট্টাচার্য (বল্লভপুরের রূপকথা) এবং প্রসূন চট্টোপাধ্যায় (দোস্তোজী)। মোস্ট প্রমিসিং অ্যাক্টর (মেল) জীতু কমল (অপরাজিত)। মোস্ট প্রমিসিং অ্যাক্টর (ফিমেল) শ্রুতি দাস (এক্স ইক্যুয়াল টু প্রেম)। বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর (ফিমেল) পাওলি দাম (ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ)। বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টর (মেল) শ্যামল চক্রবর্তী (বল্লভপুরের রূপকথা)। সেরা অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী (অনন্ত) ও দেব (প্রজাপতি)। সেরা অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী (মহানন্দা)। সেরা পরিচালক অনীক দত্ত (অপরাজিত)। সেরা ছবি অপরাজিত ও দোস্তোজী (যুগ্ন বিজেতা)

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা