Modi Govt: কোটি কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা দেবে কেন্দ্র, আগামী ৫ বছর চলবে এই প্রকল্প

স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক…

Debaprasad Mukherjee

স্বাধীনতার পর ভারতে একাধিকবার দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আর তখন থেকে দেশে খাদ্যাভাব দূর করতে যুগান্তকারী রেশন ব্যবস্থার সূচনা ঘটে দেশেও। আর এখনো অবধি ভারতের প্রতিটি রাজ্যেই রেশন কার্ড রয়েছে এমন প্রত্যেক নাগরিক মাসে মাসে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য পেয়ে থাকেন। রেশন কার্ড থাকলে সেই কার্ডের ভিত্তিতে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয় স্থানীয় রেশন দোকান থেকে। তবে সবার ক্ষেত্রে সমান খাদ্যদ্রব্য বণ্টন করা হয় না। কোন গ্রাহক কত পরিমানে খাদ্য শস্য পাবেন তা ঠিক হবে তাঁর রেশন কার্ডের ধরণের উপর।

আর এবার এই রেশন ব্যবস্থা নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৫ বছর গরীব কল্যাণ যোজনার আওতায় দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দেবে কেন্দ্র। ২০২০ সাল থেকে করোনাকালীন সময়ে কেন্দ্র সরকারের তরফে দ্বিগুন রেশন সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র। আর সেই থেকেই এই বিষয়টিকে বর্ধিত করে আসছে কেন্দ্র। আর ফের একবার এই সুবিধার বর্ধিতকরণের ঘোষণা করেছে সরকার। আগস্টে জানানো হয়েছিল যে আরো ৩ মাস মিলবে এই সুবিধা। অর্থাৎ ডিসেম্বর অবধি নাগরিকরা এই সুবিধা পেতে চলেছেন বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তবে সেই ডিসেম্বর তো চলেই এসেছে। আর এবার সেটিকে আরো ৫ বছর বর্দ্ধিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার।

জানা গেছে, ডিসেম্বরের পর অর্থাৎ, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ থেকে আরো ৫ বছর দেশবাসীকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ ২০২৯ সাল অবধি মিলবে এই সুবিধা। আর এই আসন্ন সময়ে আরো বেশি দেশবাসীকে এই সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে। সূত্রের খবর, আগামী স্পেলে ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ উপভোক্তা এই সুবিধা পাবেন। এর ফলে কেন্দ্রের অতিরিক্ত ১১.৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় দেশের দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী নাগরিককে ৫ কেজি খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে সামগ্রী দেওয়া হয়। দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই আইনের আওতায় রয়েছে বর্তমানে। অর্থাৎ গোটা দেশের গরীব নাগরিকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন বর্তমানে। আর এই প্রকল্পের শেষ সীমা ছিল চলতি বছরের পয়লা ডিসেম্বর। তবে প্রধানমন্ত্রী তার আগেই এই প্রকল্প আরো ৫ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং এক জনসভা থেকে নিজেই এই ঘোষণা করেছেন।

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা