৫ অক্টোবর দুই মেয়েকে একা করে প্রয়াত হলেন শক্তি ঠাকুর৷ গায়ক ও নায়ক হিসেবে সুপরিচিত শক্তি ঠাকুর। ৭৩ বছর বয়সে সেরিব্রাল অ্যাটাকে মারা গেলেন। বাবার মৃত্যুশোকের খবর প্রথম মেহুলী ঠাকুর নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন বড় মেয়ে মেহুলি। বাবাকে শেষ দেখাও দেখতে পাননি ছোট মেয়ে মোনালি ঠাকুর। বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে তড়িঘড়ি রওনা দিয়েছেন সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে।
বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন পুরোপুরি মোনালি। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সেই ছাপ এখনো স্পষ্ট। বাবাকে নিয়ে দীর্ঘ পোস্ট আবেগপ্রবণ হয়ে লিখেছেন, “তোমার ছোটন তোমার কাছে আসবে ঠিক সময় মতো। আবার দেখা হবে। অনেক আদর।” বাবাহীন জীবন যেন মেনে নিতে পারছেন না গায়িকা। বাবার মৃত্যুর তিনদিন বাদে সস্ত্রীক কলকাতার বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করেন।
বাবার মৃত্যুর পর গায়িকা নানান আবেগপ্রবণ পোস্ট করেই চলেছেন। মোনালির বাবা ছিলেন মেয়ের সবথেকে বড় সমর্থক৷ পাশাপাশি সবচেয়ে বড় সমালোচকই ছিলেন সেই বাবাই৷ বাবার কাছে গানের হাতেখড়ি। মোনালি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পিছনে ছিল তাঁর বাবার বড় অবদান৷ তাই বাবার মৃত্যুর পর এখনো বাবাকে ভুলতে পারেননি।
বর্তমানে গায়িকা স্বামীর সাথে বিদেশেই রয়েছেন। মোনালির চোখে জল এখনো শুকোয়নি৷ ব এই পুজোয়ে প্রথম বাবা ছিলনা এই ভেবেই মেয়ের চোখে জল৷ ছলছল চোখে তিনি বাবার স্মৃতিচারণ করলেন৷ স্মৃতির পাতা উল্টে নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে নতুন ছবি শেয়ার করলেন গায়িকা। দুই মেয়ে বাবার কোলে বসে আদর খাচ্ছেন। বাবাও মেয়েদের নিয়ে বেজায় খুশি। ছবির সাথে ক্যাপশানে লিখলেন,” ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতায় ভরা হৃদয় এই হাসি মুখটি আমার হৃদয়ে নিরাপদে সঞ্চিত রেখে আমার বাকী সময় বাঁচবে .. আমার বাবা “। নিমেষেই এই ছবি ভাইরাল। বাবার মৃত্যুর পর বহু মানুষ সমবেদনা জানিয়েছেন দুই মেয়েকে। পাশে থাকার জন্য, সকলকে ধন্যবাদ জানালেন মোনালি।