বাংলার অভিনয় জগতে মনামী একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার বয়স হয়েছে, বয়স কিন্তু বোঝা যায় না, তার শরীরের মাখোমাখো ত্বক আর সুন্দর চুল দেখে কখনো শাড়ি পরে ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি’ কখনো বা জলের মধ্যে রঙিন বিকিনিতে মন জয় করছেন নেটিজেনদের। ১৯৯৭ সালে সমরেশ মজুমদার রচিত ‘সাতকাহন’ অবলম্বনে দেবীদাস ভট্টাচার্যের চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় জগতে পা রাখেন মনামী ঘোষ। তারপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
টেলিভিশনের ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বত্রই তিনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে গেছেন। ‘শ্যাওলা’, ‘সাতকাহন’, ‘এক আকাশের নিচে’, ‘পুন্যি পুকুর’, ‘ইরাবতীর চুপকথা’ এই সমস্ত ধারাবাহিকে নজর করা অভিনয় করেছিলেন মনামি ঘোষ। এছাড়াও মাটি, এক মুঠো ছবি, বেলাশেষে, ওগো বধূ সুন্দরী, ভূতের ভবিষ্যৎ, কালোচিতা, বেলাশুরু অসাধারণ অভিনয় করেছেন মনামী ঘোষ।
প্রত্যেকেই জানি, বাঙালি অভিনেত্রী মনামী ঘোষ ঘুরতে ভীষণ ভালোবাসেন। কাজের থেকে একটু ছুটি পেলেই অমনি তিনি পাখির মতন উড়ে বেড়ান এদিক-ওদিক। তবে শুধুমাত্র বেড়ানো নয় সে সমস্ত জায়গায় গিয়ে ছবি দিতেও ভুল করেন না অভিনেত্রী।। আপনার যদি এই অভিনেত্রী খুব প্রিয় হন তাহলে instagram এ গিয়ে একবার ঘুরে আসতে পারেন দেখে আসতে পারেন তার অসাধারণ বেড়ানোর ছবি।
আবারো বেড়াতে গেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি অসাধারণ দ্বীপে।সেখানে গিয়ে আবারো হট ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। দ্বীপ এর নাম জেজু দ্বীপ । সম্প্রতি নিজের ছবিটি পোস্ট করেছেন। সেখানে একসঙ্গে একটি আগ্নেয়গিরি আর সমুদ্রকে দেখা যাচ্ছে। দারুন সুন্দর একটা দৃশ্য তৈরি করেছে। আর তার মাঝে লাল পোশাকে মনামী কে দেখতেও অসাধারণ লাগছে।
আর পরনে ছিল টুকটুকে লাল রঙের একটি টপ এবং সাথে পরেছিলেন ডেনিম শট জিন্স। তবে বেড়াতে গিয়ে একেবারে হালকা মেকআপেই রয়েছেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে, শুধুমাত্র প্রকৃতিকে উপভোগ করতেই গেছেন। অভিনেত্রী নো মেকআপ লুকে তাকে অসাধারণ লাগছে। এমনিতেও মনামীর ত্বক আর চুল নিয়ে কোন কথা বলতেই হবে না। নীল আকাশ, নীল সমুদ্র আর আগ্নেয়গিরিকে সাক্ষী রেখে প্রত্যেকটি ছবি তোলেন। গয়না ছাড়াই খোলা চুলে তাকে ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগছে। তবে দেরি না করে দেখে নিন অসাধারণ ছবি –
View this post on Instagram