ঘরে আবির্ভাব স্বয়ং বজরঙ্গবালীর, মুড়ি জল খেয়ে নিশ্চিতে ঘুম হনুমানের
ময়ূরেশ্বর এর এক ব্লকের তেকেড্ডা গ্রামে ঘটে গেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। যা দেখতে প্রায় গোটা গ্রামের লোক ভিড় করেছেন একটি বাড়িতে। একে মঙ্গলবার বাজরংবালি পুজো সবে সেরে এক পুরুত মশাই বাড়ির উঠোনে বসে মুড়ি খাচ্ছিলেন। আর সেই সময় ঘটে গেলো এক অবাক কান্ড। সকালে যে ভগবানের পুজো দিয়ে এলেন ভগবান অর্থাৎ বীর হনুমান কিনা তার চোখের সামনে চুপ করে বসে আছে।
ভদ্রলোকের হাতে মুড়ির থালা দেখে হনুমান যেন ভঙ্গিমা করে তার থেকে খানিকটা চেয়ে নিল। বেশ অনেকটা মুড়ি খাওয়ার পর চৌবাচ্চা থেকে পেট ভরে জল পান করল হনুমান বাবাজি। তারপরে আর কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা চলে গেল শোওয়ার ঘরে। সেখানে খাটের উপর বালিশ পাতা ছিল অমনি বালিশে মাথা দিয়ে ঘুম দিল প্রায় তিন ঘন্টা।
এমন ঘটনা ঘরের ভেতর থেকে পৌঁছে গেছে গোটা গ্রামাঞ্চলে। সকলেই অবাক হয়েছেন ভেবে মঙ্গলবার এর দিনে স্বয়ং বজরংবলীর আবির্ভাব হয়েছে তাদের গ্রামে। ঘরের মধ্যে ঢুকে এসে ওপরের দিকে তাকিয়ে যেন কানন বাবুকে ইশারায় বলছিলেন ফ্যানটা চালিয়ে দিতে বড্ড গরম পড়েছে।
আর কানন বাবু ও তাঁর আকার-ইঙ্গিত বুঝতে পেরে ফ্যান চালিয়ে দিলেন। আর কি মুড়ি জল আর ফ্যানের ঠান্ডা হাওয়ায় বেচারা একেবারে ঘুমে কাদা। এদিকে গ্রামবাসীরা তো পুজোর থালা হাতে আবির্ভাব হয়ে গেছেন কানুন বাবুর বাড়িতে। তবে বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন হঠাৎ করে এমন আবহাওয়ার পরিবর্তন এর জন্যই হনুমান বাবাজির প্রচন্ড জলতেষ্টা এবং খিদে পেয়েছিল। তাই তিনি কানন বাবুর বাড়িতে একটু আশ্রয়ের জন্য এসেছিলেন।