চলতি বছর যেন সর্বোচ্চ দাপট দেখিয়েছে গ্রীষ্মকাল। এপ্রিল থেকেই কার্যত গ্রীষ্মের আগুনে পুড়ছে বাংলা। মে ও জুন মাসে তো চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয় বেশ কয়েকটি জেলায়। অনেকেই মনে করতে পারছেন না শেষ কবে কলকাতা ও রাজ্যে এমন গরম পড়েছিল। এমতাবস্থায় বেশ কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টির জন্য চাতকের মতো আকাশের দিকে তাকিয়ে বসেছিল বঙ্গবাসী। কবে রাজ্যে বর্ষার আগমন হবে সেই নিয়ে চলছিল চর্চা।
আর অবশেষে গত সপ্তাহেই বর্ষা ঢুকেছে উত্তরবঙ্গে। এদিকে এই সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বর্ষার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস। অতি বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে আগামী ৪৮ ঘন্টায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যেই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে। সুতরাং, এটা বলাই যায় যে আগামীকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গে জাঁকিয়ে বসতে চলেছে বর্ষা। এখন একনজরে দেখে নিন আজ রাজ্যে কেমন থাকবে আবহাওয়া।
■ কলকাতার আবহাওয়া: কলকাতায় আজ সারাদিনই মূলত মেঘলা আকাশ থাকবে। তবে দিনশেষে শহরের কিছু স্থানে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজ। তবে বৃষ্টি না হলে সামান্য অস্বস্তি বজায় থাকবে শহরে। কারণ আজ কলকাতার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৫৭ থেকে ৮৯ শতাংশের মধ্যে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৮ থেকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
■ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ ও আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া এই চার জেলাতে। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও। শুক্রবারের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে মৌসুমী বায়ু বা বর্ষা ঢুকে পড়লেও এখনই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা মুক্তি পেতে চলেছে আজই।
■ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: মৌসম ভবন সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় আজ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। চরম বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার এই দুই জেলাতে। এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে দার্জিলিং, কালিম্পং-সহ বেশ কয়েকটি জেলায়। পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে ল্যান্ড স্লাইড হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে আজ। এদিকে নীচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে উত্তরবঙ্গে।
