Assam Flood: ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ, মৃত ৪৮, প্রবল বৃষ্টিতে জলের তলায় অসমের বিভিন্ন এলাকা
আষাঢ়ের মাঝামাঝি হয়ে গেলেও বর্ষা তেমন জাঁকিয়ে বসতে পারেনি দক্ষিণবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে যদিও বর্ষার ভয়াল রূপ দেখা গিয়েছে। হয়েছে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি। অন্যদিকে। অসমেও দেখা দিয়েছে বন্যা (Assam Flood)। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে এই রাজ্যের ২৮ টি জেলার মধ্যে আড়াই হাজার গ্রাম চলে গিয়েছে জলের তলায়। প্রবল বৃষ্টিতে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্র নদ। সামান্য বৃষ্টিতেই বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় অসমে। সেখানে এ বছর প্রবল বর্ষায় প্রায় ১১.৩৪ লক্ষ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের।
ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ জেলা
রাজ্যের মোট ৩৩ টি জেলার মধ্যে ২৮ টি বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এনডিআরএফ, এসডিআরএফ, সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে বন্যার হাত থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০৫৭ জন মানুষ এবং ৪১৯ জন প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বরপেটা, বিশ্বনাথ, কাছাড়, চরাইদেও, চিরাং, দারং, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, গোলাঘাট, যোরহাট, কামরুপ মেট্রোপলিটন, কার্বি আংলং, করিমগঞ্জ, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, তামুলকিয়াপুর, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, উদালিনপুর এর মতো জেলাগুলি।
বিপদসীমার উপরে ব্রহ্মপুত্রের জল
সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লখিমপুর জেলা। ১ লক্ষ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এখানে। প্রায় ৮.৩২ লক্ষ গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪২,৫০০ হেক্টর কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪৯০ টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ২.৮৬ লক্ষ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। গুয়াহাটি, তেজপুর, ধুবড়ি, নিমাতিঘাটে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ব্রহ্মপুত্রর জল।
এত বন্যাপ্রবণ কেন অসম?
অসমের মোট আয়তনের প্রায় ৫৬,১৯৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা ব্রহ্মপুত্র নদের উপত্যকায় অবস্থিত। আর বাকি ২২,৪৪৪ বর্গকিমি এলাকা অবস্থিত অন্য প্রধান নদী বরাকের উপত্যকায়। এই কারণে প্রতি বছরই অসমের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়।