প্রাচীন কাল থেকেই মেয়েদের তন্বী হওয়ার উপদেশ দেওয়া হত। অত্যন্ত রোগা চেহারার মেয়েদেরও নিস্তার ছিল না। তাদের বলা হত, দুধ-ঘি খেয়ে মোটা হতে। কিন্তু কেউ কখনও জানতে চাননি, আসলে মেয়েটি কি চায়। শারীরিক সৌন্দর্যের নিরিখে আজও মেয়েরা সাতপাকে বাঁধা পড়েন। কিছুদিন আগে শারীরিক স্থুলতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)। তিনি বলেছিলেন, ভারি শরীরের মহিলারাও সুইমসুট পরতে পারেন। এবার মুখ খুললেন ম্রুণাল ঠাকুর (Mrunal Thakur)।
ম্রুণালকে তাঁর কেরিয়ারের প্রথম দিকে প্রায়ই শুনতে হত, তাঁর গড়ন নাশপাতির মতো। সবজান্তারা তাঁকে বলতেন, শরীরের নিচের অংশের মেদ কমাতে। অনেকের ধারণা ছিল, তাঁর গড়ন কলসীর মতো। কষ্ট পেতেন ম্রুণাল। কিন্তু এই কষ্ট তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। তিনি বুঝেছিলেন, এই শরীরটা তাঁর। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সেই দিনগুলির কথা তুলে ধরেছেন। ম্রুণাল জানিয়েছেন, নাশপাতি হোক বা কলসী, এটাই তিনি। যাঁরা তাঁকে মেদ কমাতে বলছেন, তাঁদের এটা বোঝা উচিত, শুধু শরীরের নিচের অংশ থেকে মেদ কমানো যায় না। প্রথমে মুখের মেদ ও শরীরের উর্ধ্বাংশের মেদ কমে। তারপর শরীরের নিচের অংশের মেদ কমতে শুরু করে। সব মিলিয়ে শরীরের গড়ন একই থাকে।
View this post on Instagram
ম্রুণাল স্পষ্ট জানিয়েছেন, শুধু বলিউড নয়, সমাজে অজস্র মেয়ের শারীরিক গড়ন তাঁর মতো। কিন্তু তিনি মনে করেন, এই চেহারায় ক্রপ টপ বা হাই-ওয়েস্ট প্যান্ট পরার মধ্যে কোনো দোষ নেই। নিজেকে নিয়েও গর্ব করতে শিখতে হয়। ম্রুণাল জানান, আমেরিকায় থাকাকালীন তাঁকে অনেকেই শারীরিক গড়নের কারণে ‘ভারতীয় কার্দাশিয়াঁ’ বলে ডাকতেন। কারণ সেখানে অনেকেই এই ধরনের চেহারা পেতে পয়সা খরচ করে সিলিকন সার্জারি করান। ম্রুণাল বুঝতে পেরেছিলেন এই শরীর তাঁর কাছে গর্বের, অহংকারের।
ফলে তাঁকে এখন কেউ কটাক্ষ করলেও পাত্তা দেন না ম্রুণাল। সম্প্রতি রিলিজ করেছে তাঁর ফিল্ম ‘জার্সি’। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাহিদ কাপুর (Shahid kapoor)।
View this post on Instagram