নচিকেতা মানেই তীব্র কিছু, তার গানের কলি হোক বা বচন। সবেতেই ঠোঁট কাটা তিনি। আট থেকে আশি এই নচিকেতা চক্রবর্তীর (Nachiketa Chakraborty) ফ্যান। তার গান নাকি সমাজের কঠিন বাস্তবের কথা বলে। তার গান বহমান, চলমান, সত্যি, বাস্তব। যদিও তিনি যেই বৃদ্ধাশ্রম গেয়েছেন সেই গান আজকের দিনে দাড়িয়ে ৯০% অপ্রাসঙ্গিক। সন্তানরা কষ্ট পায় বাবা মায়ের জন্য। তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো কোনো সন্তানের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না। কেউ কেউ কোনো কারণ বশত পাঠান তাদের মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে। এর জন্য বলির পাঠা একজন সন্তান কি হতে পারে? কি বলছেন পুরুষ শ্রোতারা?
নচিকেতার গান নিয়ে আলোচনা নয়।বরং তিনি রূপঙ্কর বাগচীর পাশে যেভাবে দাড়িয়েছেন সেই বিষয় নিয়ে ঝড় উঠেছে। কেউ আশা করতে পারছেন না যে তাদের প্রিয় শিল্পী নচিকেতা শেষ পর্যন্ত রূপঙ্কর বাগচীর পাশে!!!
নচিকেতা চক্রবর্তী বলেছেন – রাঘব, ইমনদের ওর পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল।
রাজার মতো মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। এমন মৃত্যুই তো চায় সকলে। শিল্পীরা জনসমুদ্রে মিশে যেতে চায়। ভিড়ের চাপে মরে যেতে চায়। ওখানেই তো শিল্পীর সার্থকতা। শ্রোতাদের ভিড়ে এক জন শিল্পী মিশে গিয়ে জীবনের শেষ গান শোনাচ্ছেন, এটাই শিল্পীর স্বপ্ন।
রূপঙ্কর বাগচীর অভিমানকে যদি আমরা বুঝতে না পারি, তা হলে তো ধরে নিতে হবে, আমাদের অনুভূতি বোধটাই উবে গিয়েছে। আমরা কি গাধা হয়ে গিয়েছি! না না, গাধা নয়, গাম্বাট! এক জন বাঙালি শিল্পী তার অভিমানের জায়গা থেকে একটা কথা বলল। আর আমরা সেটাকে ধরতেই পারলাম না। অন্য ব্যাখ্যা করছি!
অর্থাৎ, যারা নচিকেতার গান শুনছেন বা শোনেন তারা প্রত্যেকেই একটা গাম্বাট। কারণ আপনারা রূপঙ্কর বাগচীর কথা বোঝেননি, তাই নচিকেতার কথা কি করে বুঝবেন?