Neel Bhattacharya: তৃণাকে ভুলে কার সঙ্গে ব্যাংককে ‘রোম্যান্স’ করছেন নীল!
বাংলা টেলিভিশন পর্দায় নীল-তিয়াশা একটি জনপ্রিয় জুটি। ‘কৃষ্ণকলি’ ধারাবাহিকে নিখিল-শ্যামার মাধ্যমে যে জুটি জনপ্রিয় হয়েছিল দর্শকদের মধ্যে, সেই জুটি এখন ‘বাংলা মিডিয়াম’-এর দুই কেন্দ্রীয় চরিত্র। একজন যেমন ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষায় বিশ্বাসী, অন্যজন পাতি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রী থেকে শিক্ষিকা হয়েছেন। ফলে ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা হলেও অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya) ও তিয়াশা লেপচার (Tiyasha Lepcha) মধ্যে পর্দার চরিত্রে এখনো রয়েছে মতবিরোধ। দর্শকরা চাইছেন, তাদের মধ্যে প্রেমটাও হোক এবার। আর সেই কারণে ‘বাংলা মিডিয়াম’ ধারাবাহিকের গল্পে নতুন ‘টুইস্ট’ আনতে মরিয়া নির্মাতারা। আর এবার ঘটল তেমনটাই।
জানা গেছে, কিছুদিন আগেই ‘বাংলা মিডিয়াম’-এর গোটা টিম উড়ে গিয়েছিলেন স্বপ্ননগরী ব্যাংককে। আর সেখানেই নাকি আগামী কিছু পর্বের শুটিং হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এই বাংলা ধারাবাহিকের পরিধি এখন কলকাতা থেকে বিস্তৃত ব্যাংকক অব্দি। কিন্তু সেখানে গিয়ে গল্পের কি ‘টুইস্ট’ আনার কথা ভাবছেন নির্মাতারা? সেখানেই কি কাছাকাছি আসবেন নীল ও তিয়াশা? তাদের মধ্যে কি এবার জমে উঠবে প্রেমের কেমেস্ট্রি? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে নানা মহলে। তবে এবার এইসব প্রশ্নের উত্তর দিলেন খোদ ধারাবাহিকের পরিচালক।
জানা গেছে, ব্যাংককে গিয়ে নায়ক ও নায়িকার প্রেমটা না হলেও সেখানে রয়েছে নতুন চমক। ভিনদেশে গিয়ে নাকি ষড়যন্ত্রের শিকার হতে চলেছেন তিয়াশা। জানা গেছে, এখান থেকেই হারিয়ে যাবেন পর্দার দিদিমণি ইন্দিরা। পাসপোর্ট সহ অন্যান্য জরুরি জিনিস হারিয়ে পড়বেন বিপদে। আর এভাবেই গল্পে আসবে নতুন এক মোড়। তবে অভিনেত্রী এই প্রসঙ্গে জানান, “আমরা পাটায়া আর ব্যাংককে শ্যুটিং করেছি। স্যানথম ব্রিজ, চকোলেট ভ্যালিতে শ্যুট করেছি। এই চকোলেট ভ্যালিটা স্বপ্নের মতোই সুন্দর। এছাড়াও সমুদ্রের ধারে শ্যুটিং চলেছে। চিত্রনাট্যে এতদিন বিক্রম আর ইন্দিরার মধ্যে একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। এখন সেটা মিটে কাছাকাছি আসছে নায়ক নায়িকা”
প্রসঙ্গত, বাংলা মাধ্যমের শিক্ষার গুণমান তুলে ধরতেই এই ধারাবাহিকের প্লট রচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রযোজক। তার কথায়, “এই গল্প এমন একটি মেয়ের যে বাংলা মিডিয়ামে পড়ে, ইংরাজির ওপর নির্ভর না করেই নিজের বুদ্ধি দিয়ে সমস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠে, জয়ী হয়ে ফেরে। উপস্থিত বুদ্ধি, মেধা সবই তার রয়েছে, কোনও লড়াইতেই সে পিছিয়ে নেই। এই ধারাবাহিকটা পরিকল্পনা করা হয়েছিল এই কারণেই যাতে অনেক বাংলা মিডিয়ামে পড়া ছাত্রছাত্রীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান।”
View this post on Instagram