‘অকওয়ার্ড সিচুয়েশন’, ‘সব্বোনেশে ব্যাপার’, বর্তমানে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘নিম ফুলের মধু’ দেখে নবীনা, প্রবীণা, প্রাচীনা প্রায় সব মহিলাদের এই ধরনের কথাগুলি মনে হচ্ছে। কারণ ঘরে ঘরে কান পাতলেই শোনা যাবে, বাস্তবে বহু শাশুড়ি রয়েছেন যাঁরা ছেলের সাথে বৌ একঘরে থাকলে সহ্য করতে পারেন না। অনেকে আবার দরজায় কান পাতেন। এমনও অনেকে রয়েছেন যাঁরা ছেলে-বৌয়ের ঘনিষ্ঠতা পছন্দ করেন না। তবে তাঁরা অবশ্যই কতিপয়। কিন্তু বর্তমানে ‘নিম ফুলের মধু’-তে পর্ণার শাশুড়ি সেই দলেই নাম লিখিয়েছেন।
এই মুহূর্তে ‘নিম ফুলের মধু’-তে চলছে দোল পর্ব। জি বাংলার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে ইতিমধ্যেই ভাইরাল দোল স্পেশ্যাল পর্বের প্রোমো। তাতে দেখা যাচ্ছে, দোল খেলার পর বাথরুমে স্নান করতে ঢোকে পর্ণা। কিন্তু তার স্বামী সৃজন সেই সময় দরজায় ছিটকিনি না আটকে স্নান করছিল। পর্ণা লজ্জা পেয়ে বাথরুম থেকে বেরোতে গেলে সৃজন তার হাত চেপে ধরে কাছে টেনে নেয়। শাওয়ারের নিচে তারা দুজনে ভিজে যায়। পর্ণা ও সৃজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত তৈরি হয়। কিন্তু হঠাৎই চলে আসে ‘বাবুর মা’ ওরফে সৃজনের মা ওরফে পর্ণার শাশুড়ি।
পর্ণার শাশুড়ি এসে বাথরুমের দরজায় ধাক্কা দিয়ে ছেলেকে দরজা খুলতে বলে। তার একটাই কথা ‘বাবু বেরিয়ে আয়, দরজা খোল’। ওদিকে বাথরুমের দরজার বাইরে জড়ো হয়ে গিয়েছে পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য। তারা বুঝতেই পেরেছে, বাথরুমের ভিতরে রয়েছে পর্ণা ও সৃজন। পরিবারের সদস্যদের দাবি, দরজা ভেঙে ফেলা উচিত। শুরু হয়ে যায় দরজায় ধাক্কা দেওয়া। অপরদিকে বাথরুমের মধ্যে সৃজন বলে, আজ সব শেষ। পর্ণা তাকে কিছু ব্যবস্থা নিতে বলে।
নেটিজেন একাংশ তো যথেষ্ট মজা পেয়েছেন এই প্রোমো দেখে। অনেকে নিজেদের শাশুড়ির সাথে পর্ণার শাশুড়ির মিলও খুঁজে পেয়েছেন। তবে পর্ণার শাশুড়ি মনে হয় নাতি-নাতনির মুখ দেখতে চান না! সত্যিই কি বাথরুমের দরজা ভাঙতে পারবে পরিবারের সদস্যরা? নাকি এবার প্রতিবাদ করবে সৃজন? জানতে হলে চোখ রাখতে হবে ‘নিম ফুলের মধু’-র ‘মন রাঙানো দোল’ পর্বে।
View this post on Instagram
