সম্প্রতি নেটদুনিয়া আলোড়িত হয়ে গেছে নুসরত জাহান (nusrat jahan)-এর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবরে। নুসরত সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন। সেই সময় কটুক্তিতে ভরে গিয়েছিল তাঁর কমেন্ট বক্স। কিন্তু চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে এক নেটিজেনের কমেন্টে বদলে গেল চিত্রটা। একজন মহিলা নেটিজেন নুসরতের ছবির নিচে কমেন্ট করে বলেছেন, গর্ভবতী হয়ে নুসরত দেখতে আরও সুন্দর হয়েছেন।
গতকাল অবধি প্রায় প্রত্যেকেই জিজ্ঞাসা করেছেন, নুসরতের সন্তানের পিতা কে! নুসরতের অনাগত সন্তানের মাতৃপরিচয় তাঁদের কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছিল না। কিন্তু অদ্ভুতভাবে আজ তাঁরাই বলছেন, নুসরত খুব সুন্দরী। অনেকে কনগ্র্যাচুলেট করছেন নুসরতকে। অনেকে আবার নুসরতের পরনের শাড়ির প্রশংসা করছেন। এই মুহূর্তে নুসরতের সোশ্যাল মিডিয়ার কমেন্ট বক্স দেখে মনেই হচ্ছে না চব্বিশ ঘন্টা আগেই ছবিটা অন্যরকম ছিল।
View this post on Instagram
বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima nasreen) চেয়েছেন, নুসরত নিজের সন্তানকে একাই বড় করে তুলুন। তসলিমা বলেছেন, নিখিল (Nikhil jain) বা যশ (yash Dasgupta) কাউকেই প্রয়োজন নেই সন্তানকে মানুষ করতে। তসলিমা যে মত ব্যক্ত করেছেন তা একজন স্বাধীনচেতা নারীর মত। তসলিমার মন্তব্যই কি নেটিজেনদের ধারণা বদলে দিল?
তবে নুসরতের ঘটনা আবারও সমাজের পুরুষতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসকেই সামনে এনে দিল। মাতৃগর্ভের উষ্ণতায় সন্তান বেড়ে ওঠে। অধিকাংশ সময়েই মায়েরাই সন্তানের সুখ-দুঃখ সর্বক্ষণের সাথী হয়ে ওঠেন। তবু সমাজ বারবার চায় পিতৃপরিচয়। সমাজের নীতিবাগীশরা বারবার সীতার তুলনা টেনে আনেন। কিন্তু তাঁরা হয়তো ভুলে গেছেন গর্ভবতী সীতাকে নির্বাসন দিয়েছিলেন রামচন্দ্র। সীতা একাই জন্ম দিয়েছিলেন লব-কুশের। লব ও কুশকে একাই বড় করে তুলেছিলেন সীতা। তাহলে বারবার কেন নারীকে সন্তানের মা হওয়ার জন্য পিতৃপরিচয়ের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়? কেন পৃথিবী ভুলে যায়, পুরুষও কালের নিয়মে প্রকৃতির দ্বারস্থ।