Uttarakhand: কেদার-বদ্রীনাথ কি এবার ধ্বংসের পথে? চাঞ্চল্যকর তথ্য জানাচ্ছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা
পরিবেশ পাল্টাচ্ছে, চারিদিকে নানান রকম সমস্যা তৈরি হচ্ছে, কোথাও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। কোথাও আবার বৃষ্টি হচ্ছে না, প্রকৃতির নানান রকম খেলা দেখাচ্ছে তবে কি এবার প্রকৃতির ধ্বংসের পথে? যারা ধর্ম কর্ম করেন, তাদের অনেকেরই পছন্দের জায়গা হল উত্তরাখন্ড। দেশ থেকে বিদেশ থেকে নানান জায়গা থেকে পর্যটকের আগমন হয়, এখানে তবে উত্তরাখণ্ডের এই আকর্ষণের জায়গা কি এবার ধ্বংস হতে চলেছে? আবহাওয়া দপ্তরে তরফ থেকে জানানো হয়ে গেছে, যে এই অঞ্চলে বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হচ্ছে, হরপা বান দেখা দিচ্ছে। যার ফলে উত্তর ভারতের জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে।
এখানে মাঝে মাঝে তুষার ধস দেখতে পাওয়া যায়, কেদারনাথের ঠিক মাথার ওপরে সুমেরু পর্বত থেকে নেমে এসেছে বরফের বিরাট একটা গোলা। গত বছরেও এরকম হয়েছিল এমনকি তার আগের বছরও কিন্তু কেন বারবার এইরকম ঘটনা ঘটছে, তবে শুধুমাত্র কেদারনাথই নয় উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গাতেই এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে কি হিমালয়ের পার্বত্য পাদদেশ এইবার শেষের দিকে এবার ধ্বংসের দিকে?
সমীক্ষার দেখা যাচ্ছে যে ১৩ টি হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদ রয়েছে যেখানে যদি জলোচ্ছ্বাস কোনোভাবে হয় তাহলে প্রকৃতির ধ্বংস লীলাকে থামানো কিছুতেই সম্ভব হবে না, উত্তরাখন্ডে এরকম অসংখ্য হিমবাহ শ্রেষ্ঠ জলাধার রয়েছে যা খুবই বিপদজনক। আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে জুলাই মাসের হিমালয় পার্বত্য এলাকায় ভীষণ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে যার ফলে হড়পা বান, মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হতেই পারে। হিমালয়ের রাজ্যগুলির নদী অববাহিকায় জলস্তর বাড়বে হুহু করে।
উত্তরাখন্ড, জম্মু-কাশ্মীর, পশ্চিম হিমালয়ের পাদদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টির ফলে যা হতে পারে তা হল ধস বা হড়পা বান। যার জন্য প্রচুর প্রাণঘাতী হতে পারে। হিমোকুন্ডগুলি নিয়েও সমীক্ষা করা হচ্ছে, এর উচ্চতা, গভীরতা, বিস্তার কতটা বিপদ রেগে আনতে পারে তেমনটাও জানানো যাচ্ছে।