শিমুলের বিরুদ্ধে পরকীয়া নিয়ে বিরাট ষড়যন্ত্র, জমাটি পর্ব আসছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’তে
একটার পর একটা ধামাকাদার পর্ব হচ্ছে ‘কার কাছে কই মনের কথা’তে (Kar Kache Koi Moner Kotha)। জি বাংলার সিরিয়ালটি প্রতিদিনই জব্বর গল্প নিয়ে এসে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে দর্শকদের। সেই সঙ্গে মাঝে মধ্যেই সিরিয়ালের গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক ধরাবাঁধা। কিন্তু বিতর্ক যতই হোক না কেন, গল্প বদলায়নি ধারাবাহিকটি। এই মুহূর্তে সিরিয়ালে দেখানো হচ্ছে শিমুলের শাশুড়ি গিয়েছেন তীর্থে। নিজের বালা বন্ধক দিয়ে শাশুড়ি মায়ের জন্য টাকা নিয়ে এসেছে শিমুল। এর জন্য প্রথমে অপমানিত হলেও পরে বৌমার জন্য নরম হয়েছে শাশুড়ির মন।
কিন্তু তার দুই ছেলে যেমন ছিল তেমনি রয়ে গিয়েছে। মায়ের অবর্তমানে আবারো স্ত্রীর উপরে জোরজবরদস্তি শুরু করে পলাশ। রাতে শিমুলকে নিজের কাছে নিয়ে আসার জন্য দিদির ঘরে চড়াও হয় সে। রাতে তার শয্যা সঙ্গিনী হতেই হবে শিমুলকে। শুধু তাই নয়, দিদিকে ধাক্কা মারতেই হাতে দা নিয়ে রণরঙ্গিনী মূর্তি ধরে শিমুল। বেগতিক লেখে পালিয়ে বাঁচে পলাশ।
অন্যদিকে দেওর পরাগ আঁটে নতুন ফন্দি। তার হবু স্ত্রী প্রতীক্ষারও মোটে পছন্দ নয় শিমুলকে। তাই তারা ফন্দি আঁটে, শিমুলের পরকীয়ার গল্প দিয়েই তাঁকে ফাঁসানোর। প্রতীক্ষা জানায়, শিমুলের প্রাক্তন শতদ্রুর বোনের বিয়েতে তাকে নিমন্ত্রণের পরিকল্পনা করছে সে। তারা ষড়যন্ত্র করে, বাড়িতে যখন কেউ থাকবে না তখনই শতদ্রুকে নিয়ে আসতে হবে। আর পলাশ সেই সুযোগে দাদা পরাগকে নিয়ে উপস্থিত হবে বাড়িতে। হাতেনাতে ধরবে বৌদি শিমুলকে।
প্রসঙ্গত, কার কাছে কই মনের কথা সিরিয়ালে শিমুলের চরিত্রে অভিনয় করছেন মানালি দে। শিমুলের বিয়ে হয়েছে পরাগের সঙ্গে, যে কিনা কার্যত এক মেরুদণ্ডহীন পুরুষ। স্ত্রীকে অহেতুক সন্দেহ করার পাশাপাশি তার উপরে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারে সিদ্ধহস্ত সে। বিয়ের পর থেকেই শিমুলের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে পরাগ। বিতর্কিত গল্প দেখানোরও অভিযোগ উঠেছে এই সিরিয়ালের বিরুদ্ধে।