Partha-Arpita: শুধু ৫০ নয়, মিলল ১০০ কোটির খোঁজ! পার্থ-অর্পিতার কেস আরো গভীরে
গত, বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২) ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জিকে। কারণটা সকলেই জানেন – এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ ও অর্পিতাকে। এরপর আর কি কি তথ্য জানা গেল ইডি সূত্রে? অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫০ কোটি, এরপরেও সেই নিয়োগ দুর্নীতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা!
৫০ কোটির পরেও অর্পিতার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মিলল আরো ৫ কোটি। আরো দুটি সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি, যার একটির বাজার দর ৪ কোটি টাকা আরেকটি ৪ কোটির বেশি। শেষমেশ পার্থকে আবারও ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় বিচারক বিদ্যুৎকুমার রায়। বর্তমানে, জেল বন্দী রয়েছেন অর্পিতা নিজেও। জামিন চাইলেও সেই আর্জি খারিজ হয়।
আপাতত, মানুষ চাইছে এই দুর্নীতির নিষ্পত্তি হোক। যদিও অর্পিতার দাবি, তিনি নাকি জানতেনই না তার ফ্ল্যাটে ৫০ কোটি টাকা ক্যাশ আছে। অথচ, কিছুদিন আগেও বিচার চলাকালীন অর্পিতা জানিয়েছেন যে ওই টাকা আমার নয়, পার্থর লোকজন টাকা রেখে যেত। অথচ, গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর অর্পিতা সাফ জবাব যে তিনি কিছুই জানেন না। ঠিক একই কথা বলেন পার্থ নিজেও। পার্থ এও বলেন যে তার বাড়িতে ইডি যাক, তিনি কিছুই বলতে পারছেন না ওই ৫০ কোটি বিষয়ে। এমনকি এদিন পার্থ কেঁদে বলতে চান তিনি অসুস্থ তাকে জামিন দেওয়া হোক। পাশাপাশি অর্পিতার দাবি তার মা অসুস্থ, তাই জামিন তারও প্রাপ্য।
একটা সময়, রাত বাড়লেই ডায়মন্ড হারবার রোডের উপর এসে দাঁড়াত অর্পিতার কালো ফরচুনার। বিলাসিতায় ভরা জীবন কাটছে এখন জেলের ভাত খেয়ে। তাহলে কি এদের শাস্তি হবে নাকি ইডি বা সিবিআই এখানেও মুখ থুবড়ে পড়বে? প্রশ্ন ও উদ্বেগ সাধারণ গরীব ও মধ্যবিত্ত মানুষদের।