Hoop News

Madhyamik-2023: নতুন নিয়মে বিরাট সুবিধা পাবেন পরীক্ষার্থীরা! মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে মিলবে ঝুড়ি ঝুড়ি নম্বর

পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের বড় হওয়ার আগেই ভর্তি করা হয় স্কুলে। প্রথমে প্রাইমারি স্কুল, তারপর সেকেন্ডারি স্কুল। আর এই সেকেন্ডারি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মূল টার্গেট হলো মাধ্যমিক পরীক্ষা। কারণ একজন পড়ুয়ার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। তবে এখানেই শেষ নয়, কারণ মাধ্যমিক পাস করার একবছর পর আরো একটি অন্যতম বড় পরীক্ষা হল উচ্চমাধ্যমিক। এই দুই পরীক্ষার ফলাফলের উপর এক শিক্ষার্থীর ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারিত হয়ে থাকে। তাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় এই দুটি পরীক্ষা।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়ে যাওয়ার জন্য যেমন অনেকের স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায়, তেমনই আবার অনেকের ক্ষেত্রে জীবনে নেমে আসে বিভীষিকা। অনেক ক্ষেত্রেই পরীক্ষকের ভুলের কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এক শিক্ষার্থীর জীবন। তবে এবার থেকে এই বিষয়টি রুখে দিতে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলে সবথেকে বেশি উপকৃত হবেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। কারণ এর তাদের রেজাল্ট খারাপ হওয়া নিয়ে টেনশন করতে হবেনা।

জানা গেছে, বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা দেখেন প্রায় এক শিক্ষকরাই। এক্ষেত্রে একজন শিক্ষকের উপর যেমন অনেক চাপ পড়ে যায়, তেমনই আবার অনেক শিক্ষক কোনো বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখার সুযোগ পান না। এর ফলে পরীক্ষার খাতা দেখার ক্ষেত্রে অনেক ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে। তবে স্কুল শিক্ষকদের তরফে এবার শিক্ষা দফতরে আবেদন জানানো হয়েছিল যাতে করে সব শিক্ষকদের সমানভাবে বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখতে দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, রাজ্যের শিক্ষা দফতর এই বিষয়টিকে পর্যালোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেবে। কারণ এক্ষেত্রে সব শিক্ষকের কাছে বোর্ড পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকেনা। তবে এমনটা হলে শিক্ষকদের উপর অনেকটা চাপ কমবে বলেই মনে করছে শিক্ষা দফতর। এই প্রসঙ্গে রাজ্য শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আবেদনকারী স্কুল শিক্ষকদের আশ্বাস দিয়েছেন যে বিষয়টি অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে। কিন্তু এই বছর এটি চালু হবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

Related Articles