ডিএ সমস্যার মাঝে পেনশন নিয়েও দুশ্চিন্তা! তথ্য চেয়ে পাঠাল অর্থ দফতর
মহার্ঘ ভাতা অর্থাৎ ডি এ (DA) নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ জারি রয়েছে। কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডি এ-র তফাৎ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় হারে ডি এ পেলেও পশ্চিমবঙ্গে তেমনটা হয় না। কেন্দ্রীয় হারে ডি এ বৃদ্ধি করার দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটা বড় অংশ। কেন্দ্রের তুলনায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকায় ডি এ বাড়ানোর দাবিতে প্রায় এক বছর ধরে আন্দোলন চলছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। তবে সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ৪ শতাংশ হারে বাড়ানো হবে কর্মচারীদের ডি এ।
যদিও এই ঘোষণায় চিঁড়ে ভেজেনি বিশেষ। বরং কেন্দ্রীয় হারে ডি এ বাড়ানোর দাবি তুলে আন্দোলন আরো জোরালো করার কথাও ভাবছে বেশ কিছু সংগঠন। এর মাঝেই পেনশন নিয়েও কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ল আমজনতার। রাজ্যের ৬ হাজারেরও বেশি পেনশন প্রাপকদের হঠাৎ করেই চিন্তার কারণ বেড়েছে।
সম্প্রতি অর্থ দফতরের তরফে রাজ্য ও পুর নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, কলকাতা মেট্রোপলিটান ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটি এবং হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট সংস্থাগুলির অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। এই তিনটি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশনের দায়ভার কে বহন করে, গত দুই অর্থবর্ষে পেনশন খাতে মোট কত টাকা খরচ হয়েছে এবং বিগত দু বছরে কোন খাত থেকে পেনশনের টাকা মেটানো হয়েছে কর্মীদের এই সমস্ত প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছে অর্থ দফতরের তরফে।
এছাড়াও প্রশ্ন করা হয়েছে যে চলতি অর্থবর্ষে আরো কতজন কর্মী অবসর নেবেন, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দফতর নিজস্ব অর্থ ভান্ডার থেকে পেনশনের টাকা মেটাতে পারে কিনা। উল্লেখ্য, এই তিনটি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগী কর্মীদের সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার। তাদের পেনশন নিয়ে নতুন করে কোনো ঘোষণা হবে কিনা সে দিকেই তাকিয়ে কর্মীরা।