পর্দা ফাঁস রিনির, ‘এই পথ যদি না হয়’তে রিনির কি পথ শেষ!
জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘এই পথ যদি না হয়’। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই একের পর এক চাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে ঊর্মি ও সাত্যকীর জীবন কাটছে। তাঁদের সংসার ভাঙতে এগিয়ে আসে ঊর্মিরই কাকা ও মামণি। শ্লীলতাহানির মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয় সাত্যকী ওরফে ঊর্মির টুকাইবাবুকে।
জি বাংলা অতিসম্প্রতি একটি প্রোমো প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিলেন রিনির হয়েছে পর্দাফাঁস। যেটা অনেক দিন ধরেই চাইছিল দর্শক।দর্শকও জানতো আসল শয়তান হচ্ছে রিনি।সাত্যকীর বাড়িতেই ছোট থেকে বড় হয়েছে সে। এমনিতেও ওর প্রতি একটা বিশেষ ভালোলাগার টান আছে রিনির। তাই তাকে নিজের কাছে টানতে অনেকবার ঊর্মির ক্ষতি করেও যখন কোনো লাভ হয়নি তখন ঊর্মিরই সম্পত্তিলোভী কাকা ও মামণির সাথে হাত মিলিয়ে এভাবেই সংসার ভাঙতে এগিয়ের যায় তাদের। এত কাণ্ডের পর কবে তার আসল চেহারা সামনে আসবে সেই আশায় বসে ছিল দর্শক এতদিন, এলো তবে সেই সুদিন।
ওই মিষ্টি দম্পত্তির সংসার তখন রসাতলে যায় যায়। স্বামীকে বাঁচাতে, ভালোবাসার স্ত্রী ধর্ম পালন করতে এগিয়ে আসে ঊর্মি। ‘ল’ নিয়ে পড়াশোনাকে কাজে লাগিয়ে বিপরীতের উকিল বাসুর সাথে লড়াই শুরু করে সে। একরত্তি একটা মেয়ে কিভাবে একের পর এক প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে নিজের টুকাইবাবুকে ফেরানোর চেষ্টায় মগ্ন এটাই দেখেছে দর্শক। নিষিদ্ধ পল্লির নাজমাকে দিয়ে তার টুকাইবাবুর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার পরও বাঁধা দেয় বাসু উকিল। নিয়ে আসে রিনিকে ওঁদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে।
সাত্যকীর কাছে ফাঁস হয়ে যায় সত্য। আসল ভিলেন তাহলে রিনিই। বাড়িতে ফিরলে সবাই মিলে চেপে ধরে ওঁকে। ‘কোথায় পালাবি এবার?’ সেখানে ঊর্মি এসে পাপের শাস্তি দেয় ওকে। সপাটে গালে দেয় চড় কষিয়ে। সত্যিই তো এবার কি করে বাঁচবে রিনি। ভালোবাসাকে ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব? এসব প্রশ্নের অবসান করতে ধারাবাহিকটি দেখতে হবে। দেখা যাক তবে ‘এই পথ যদি না হয়’।