তৃণমূলের সাংসদ তথা দিদির সৈনিক এতদিন বলে এলেন নিখিল জৈন তার স্বামী। সারাজীবন তার সঙ্গে থাকবেন, যদিও এটা চাপের বিষয়, তাও থাকবেন। সে নাও থাকতে পারেন, কিন্তু এখন ঘটা করে বলছেন যে আসলে তিনি ‘বিয়ে’ করেননি, করেছেন ‘সহবাস’।
বিয়ে না করে সহবাস করার সংস্কৃতি এই দেশ তথা ভারতের নয়। বিদেশ থেকে আমদানি এই সংস্কৃতিতে অনেকেই মজেছেন। কারণ এখানে রয়েছে ভরপুর যৌনতা, স্বেচ্ছাচারিতা আর নাম বদনামের খেলা এবং যখন ইচ্ছা সম্পর্কের ইতি টানা।
মানুষ ঢাক ঢোল পিটিয়ে বিয়ে করে, কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে, শাখা সিঁদুর পরে, কেক কেটে, রিসেপশন করে কি সহবাস অর্থাৎ শুধু সহবাস করেন? কত টাকা আর কেমন সংস্কৃতি থাকলে এমন নতুন ঘৃণ্য নিয়ম সমাজে বাস্তবায়িত করা যায়? ভারতের আদালত কি সত্যি চোখে কালো পট্টি পরে আছে নাকি দেশের সংস্কৃতি এভাবে রক্ষা করবেন উচ্চপদস্থ মন্ত্রী মহল?
আগেকার দিনে মানুষ বলতো যারা অভিনয় করে তারা ভালো মেয়ে মানুষ হয়না। বর্তমান দিনে কি এর জন্য # me too এসেছে? তাই প্রায় সময় কিছু কিছু অভিনেত্রী প্রকাশ্যে বলেন, অভিনয় সুযোগ পেতে গেলে শুতে হয়, লড়াই করতে হয় বা কিছু দিতে হয়? অবশ্য যার ঘরের বাবা মা কাকা দাদা অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত তাদের হয়তো এইসবের মুখোমুখি হতে হয়না এবং তারা বলবেন এসব আদৌ হয় নাকি? সবই তো দুধের মতন সাদা। তাহলে মশাই কালো টা কোনটা? শুধুই চোখের মণি নাকি সর্ষের মধ্যেই ভুত? প্রসঙ্গত, নুসরত জাহান বহুদিন আগেই তার তুরস্কে আয়োজন করা সহবাসের ছবি ডিলিট করেছেন, কিন্তু, নিখিল জৈনের সোশ্যাল মিডিয়ায় নুসরত ছিলেন বহুদিন। এখন নিখিল নিজেও নুসরাতকে নমস্কার জানিয়ে আপদ বিদাই করেছেন। নিখিল জৈন এর ইনস্টাগ্রামে এখন নুসরত জাহান একটা ক্লোজড চ্যাপ্টার।