Sundarban Tour: সুন্দরবন ভ্রমন নিয়ে কড়া নির্দেশিকা প্রশাসনের, মাথায় হাত ছোট ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের
কথাতেই আছে, বাঙালিদের পায়ের তলায় সরষে লাগানো থাকে, একটু ছুটি পেলেই বাঙালির মন উড়ু উড়ু হয়ে যায়। বাঙালিদের উপযুক্ত ডেস্টিনেশন হয় দীঘা, পুরী কিংবা দার্জিলিং, কিন্তু অনেকেই আছেন যারা জঙ্গল ভালোবাসেন। তারা ঘুরে আসেন সুন্দরবন থেকে। সুন্দরবনের বুক চিরে বয়ে চলা অনেকগুলি নদনদীর মধ্যে দিয়ে একটি ভ্রমন তরীতে করে ঘুরতে ঘুরতে চারিদিকে দৃশ্য দেখে ভ্রমণপিপাসুদের মন একেবারে পাগল হয়ে যায়।
সুন্দরবনে গেলে কি কি দেখবেন?
যারা একবার সুন্দরবনে বেড়াতে গেছেন তাদের যদি এই প্রশ্নটা করা হয়, তারা কিন্তু একেবারে চোখ বন্ধ করে বলে দেবে, সুন্দরবন মানেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার, যদিও সবার ভাগ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখার সৌভাগ্য হয় না। অনেকেই এই বাঘকে নদীতে সাঁতার দিতে অথবা নদীর তীরে হুংকার ছেড়ে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন।
নদীর ধারে একই সাথে ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন কাজল নয়না হরিণীকে। ইতি উতি ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণের দল তারা মাঝে মাঝে অবশ্য রয়েল বেঙ্গলের পেটে চলে যায়। এছাড়াও দুদিকের ঘন ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের একটা অন্ধকারময় পরিবেশ আপনাকে শিহরিত করবে।
কতদিন সুন্দরবন যেতে পারবেন না?
একবার ভ্রমণ পিপাসি বাঙ্গালীদের জন্য রয়েছে একটা ভীষণ দুঃখের খবর। ১ লা জুন অর্থাৎ শনিবার থেকে টানা তিন মাসের জন্য সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই কথা শুনেই ভ্রমণ পিপাসু বাঙ্গালীদের মাথায় রীতিমতো হাত পড়ে গেছে, কারণ যারা বেড়াতে যেতে ভালবাসেন তারা এই তিনটে মাস সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন না। আবার ৩১ শে আগস্ট সুন্দরবনের দরজা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। যদিও কিছু কিছু ট্রাভেল এজেন্সির তরফে ভ্রমণ করানো হচ্ছে তবে সেই সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত।
কেন সুন্দরবন বন্ধ থাকবে পর্যটকদের জন্য?
কারণ হিসেবে জানানো হচ্ছে, বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার জন্যই এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। জুন মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সুন্দরবনের যে সমস্ত নদনদী খাল বিলে মাছ থাকে তা ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ এই সময় মাছ ও বন্যপ্রাণীদের সহজ ও স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করতে দেওয়া হয় যেহেতু তাদের এই সময়টা প্রজননের সময়। যেহেতু বন্যপ্রাণীরা পর্যটকদের জন্য কোনোভাবেই না বিব্রত বোধ করে সেজন্যই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবে আগে এক মাসের জন্য বন্ধ করা হতো। ২০২২ সাল থেকে এই সময়টা তিন মাস করা হয়।
পর্যটক ছাড়া কারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন?
এই সময়টা পর্যটকদের যাওয়া তো বন্ধ থাকে, কিন্তু যারা এখানে মধু বা কাঁকড়া বা মাছ ধরতে চান, তারাও যেতে পারে না সুতরাং এই তিনটে মাস তাদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর।