এক্কেবারে তিনি সিঙ্গেল এবং নট রেডি টু মিঙ্গেল। বিয়ে করতেই পারেন, তবে যদি কোনো ভালো পাত্রের সন্ধান থাকে ডিরেক্ট কনট্যাক্ট টু মিমি’স্ প্যারেন্ট। হ্যাঁ, এরকমটাই মিমি জানিয়েছেন যে তিনি একেবারে একা, এবং ভালো হৃদয়ের পাত্র থাকলে যেন তার বাবা মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
সম্প্রতি, এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মিমি ফাঁস করলেন অনেক গোপন কথা। রাজ্য, রাজনীতি, দুর্নীতি, তৃণমূল, বিজেপি ছাড়াও নিজের কেরিয়ার ও পার্সোনাল লাইফ নিয়ে গোটা ডায়েরি খুলে বসেছেন।সেই ডায়েরির পাতা থেকে জানা যাচ্ছে স্টাইলিশ অভিনেত্রী তথা সংসদ মিমি চক্রবর্তী একেবারেই সিঙ্গেল লাইফ লিড করছেন। সম্প্রতি মুম্বাই গিয়েছিলেন শ্যুটিং এর জন্য। এবং মুম্বাই থেকে ফিরে ওখানকার কাজ নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ। যেই মুম্বাইতে সারাদিনে মাত্র দুটো বা তিনটে শট নেওয়া হয়, সেখানে বাংলা একটা গোটা দিনেই নাকি ১৩/১৪ টা শট নেওয়া হয়। ভাবা যায়! উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই মিমি অভিনয় করে ফেলেছেন ‘পোস্ত’ ছবির হিন্দি রিমেকে।
সাক্ষাৎকারের জেরে এও জানা গিয়েছে মিলির সঙ্গে মিমির আর কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি মিলিকে প্রায় ভুলেই গিয়েছেন মিমি। কে এই মিলি ভাবছেন? ২০১৬ সালে পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তের ‘গ্যাংস্টার’ ছবির শ্যুটিংয়ে যান তুরস্ক। সেখানে তুরস্কের লাইন প্রোডিউসার মিলি গুলহান কিজিলকায়ারের (Melih Gulhan Kizilkaya) সঙ্গে মিমির সম্পর্কের গুঞ্জন শুরু হয়। এও শোনা যায় যে ওই মিলির জন্যেই নাকি রাজের সঙ্গে সম্পর্কে ভাঙন ধরে মিমির। এমনকি, কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল উৎসবেও মিমি যাননি, কারণ হিসেবে বলেছিলেন যে তাকে ঠিক ভাবে নিমন্ত্রণ করা হয় নি। যদিও মিমির জীবনে রাজ এখন পুরোপুরি অতীত, কিন্তু, মিমি এখনও হ্যাপিলি সিঙ্গেল।
শুধুই যে ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে নাড়াচাড়া হয়েছে সেটি নয়, কাজের দিক থেকে মিমি এটাই বলতে চেয়েছেন যে একটা সময় বছরে চারটে কাজ একসঙ্গে করেছি। মনে হতো সব করবো। এখন বেছে বেছে কাজ করেন। মিমির কথায়, দিলে ১০০% দেব, নয়তো করবো না। বিশেষত স্ক্রিপ্ট পছন্দ না হলে কোনো কাজে হ্যাঁ নয়। এমনকি সেই পেশাদারী চিন্তাভাবনা মাথায় রেখে মিমি এও বলেন যে চরিত্রের প্রয়োজনে যদি যদি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতে হয়, দেখা যাবে বিষয়টা। কাজ করবো না এমনটা নয়, কারণ এসেছি কাজ করতে, অভিনেতাদের যেই পাত্রে ঢেলে দেওয়া হবে সেই পাত্রের আকার নেবে।