জি বাংলার ‘সারেগামাপা’-র মাধ্যমে প্রচারের আলোকে এসেছিলেন বাংলাদেশের গায়ক মইনুল এহসান নোবেল (Mainul Ahsan Nobel)। ওই বছর নোবেল ‘সারেগামাপা’-র বিজয়ী না হওয়ার ফলে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন দুই বাংলার অজস্র অনুরাগীরা। কিন্তু এই বিষয়ে সেদিন মুখ খোলেননি বাংলাদেশের বর্তমান কালের অন্যতম বিতর্কিত গায়ক। তবে এরপর থেকে তাঁকে বিভিন্ন কারণে বিতর্ক তৈরি করতে দেখা গিয়েছে। কখনও তিনি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচিত হয়েছেন। কখনও অশ্লীলতার দায়ে দুষ্ট হয়েছেন। কখনও অন্য শিল্পীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। কখনও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)-কে বিতর্কিত মন্তব্য করে নিন্দিত হয়েছেন নোবেল।
বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমে নোবেল জানিয়েছেন, মিডিয়া জগৎ-এর একাকীত্ব বোঝেন না সাধারণ মানুষ। ‘সারেগামাপা’ থেকে প্রাপ্ত খ্যাতিও চান না তিনি। নোবেল চান, ‘সারেগামাপা’-র মঞ্চের নোবেলকে ভুলে থাকতে। কারণ তাঁর মনে হয়, এই খ্যাতি নেহাতই ধার করা। ধার করা ওই জনপ্রিয়তাও। ফলে ধার করে তৈরি হওয়া নোবেলকে ভুলে থাকতে চান বাস্তবের নোবেল। নোবেলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীও। গায়কের মতে, কিছু কারণে তাঁর উপর মানুষের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। এই কারণে আপাতত অন্তরালকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
নোবেল মনে করেন, তিনি অন্তরালে থাকলে তাঁর প্রতি মানুষের ক্ষোভ কিছুটা হলেও কমবে। তাঁর মতে, প্রেমে আঘাত পেলে মানুষের জীবন বিভীষিকা হয়ে যায়। কিন্তু নোবেল প্রেম করেননি। তিনি সরাসরি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিবাহিত জীবনে ঠকে গিয়েছেন তিনি। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে এই ঘটনার প্রভাব রয়েছে।
বর্তমানে নিজের মিউজিক অ্যালবাম তৈরির কাজে মন দিয়েছেন নোবেল। কিন্তু মিউজিক অ্যালবাম তৈরি করতে গেলে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন। এই কারণে নিজের পারিশ্রমিক কিছুটা কমিয়ে স্টেজ শোয়ের সংখ্যা বাড়িয়েছেন নোবেল।
View this post on Instagram