জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের পর এবার বিউটি-কুইন নোরা ফতেহি (Nora Fatehi)। সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে এবার সরব হলেন বলি-নায়িকা। দিল্লির পাতিয়ালা হাউসকোর্টে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী। নোরার জবানবন্দিতে আবারো একবার সামনে এল সুকেশের গোপন রূপ। সহচর্যের পরিবর্তে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, গয়নার অফার পেয়েছিলেন তিনি, এমনটাই জানালেন অভিনেত্রী। আরো একবার কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের আসল রূপ বেরিয়ে এল সামনে।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগেই হয়। ২০০ কোটির আর্থিক তছরুপের মামলায় নাম জড়িয়ে যায় বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের। তারপর মুখ খোলেন তিনি। তিনি বলেন কনম্যান সুকেশই তাঁর জীবনকে নরক বানিয়েছেন এবং তার ইমোশন নিয়ে খেলেছেন। এছাড়াও সুকেশ একজন সরকারি কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে তার কেরিয়ার বিপর্যস্ত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। মঙ্গলবার তার বয়ান রেকর্ড করা হয় দিল্লীর পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। আর তার পরেই এই নিয়ে মুখ খুললেন নোরা।
নোরা তার জবানবন্দিতে বলেন যে, তাঁর এক তুতো ভাইয়ের মাধ্যমে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুকেশ। সুকেশকে তিনি চিনতেন না, তাঁর সঙ্গে কখনও সামনাসামনি আলাপ বা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না তাঁর এবং এই আর্থিক তছরূপ মামলার শিকার তিনি নিজেই, এমনটাই জানান অভিনেত্রী। তিনি আরো বলেন, ‘সুকেশ চন্দ্রশেখরই আমাকে দামি বাড়ি, গাড়ি থেকে শুরু করে সমস্তরকম বিলাসবহুল জীবনযাপন দিতে চেয়েছিলেন। পরিবর্তে তার গার্লফ্রেন্ড হিসাবে নিজের জীবনে সঙ্গ চেয়েছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘পিঙ্কি ইরানি আমার তুতো ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, সুকেশকে পেতে লাইন দিয়েছেন জ্যাকলিন, তবে সুকেশের পছন্দ নোরাকে। শুধু জ্যাকলিনই নন, বহু অভিনেত্রীই সুকেশের সংসর্গ পেতে চান। সুকেশের প্রস্তাবে ভয় পেয়ে যান আমার পরিবারের সদস্যরাও।’
কিন্তু এখানে প্রশ্ন উঠছে, যদি সুকেশকে নোরা ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন না, তাহলে তার থেকে দামি গাড়ি উপহার হিসেবে নেন কেন? এই প্রশ্ন ইডি সরাসরি অভিনেত্রীকে করেন। জবাবে নোরা জানান, ‘সুকেশ নন, পিঙ্কি ইরানি চেন্নাইয়ের এক অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক হিসেবে আমাকে বিএমডব্লিউ উপহার দিয়েছিলেন। সুকেশ যে এক জন ঠগবাজ এবং ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায় জড়িত, তা আমি ওর গ্রেপ্তারির পর জানতে পারি’।
View this post on Instagram