টলিনায়িকাদের নিয়ে কৌতূহলের আর শেষ নেই। বিশেষত, নুসরত জাহান। তাঁর জীবনের জুতো-সেলাই থেকে চন্ডীপাঠ সবটাই নখদর্পণে রাখতে চান অনুরাগীরা। বিশেষ করে নেটনাগরিকের দল। তাঁর প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে, সন্তান সবটাই যেন তাঁর থেকে বেশি তাঁর জনতার ব্যক্তিগত। তাঁর মতে,তিনিও যে রক্ত মাংসে গড়া সাধারণ মানুষ কোনো সুপার ওম্যান নন, সেটা সবাই ভুলেই গেছেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টলিসুন্দরীর জীবন নিয়ে এত কাটা- ছেঁড়াছেঁড়ির ব্যাপারে অবশেষে মুখ খুললেন নুসরত। তিনি বলে বসলেন, “এত তারকাদের থেকে এক্সপেকটেশন কেন?। তাঁদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে, নিজস্বতা আছে। সবটাই যে অনুরাগী বা নেটিজনদের অগোচরে আনতে হবে এমন কোনো কথা আছে নাকি। নুসরত কোনো ভুল করলেই কি তা নিয়ে বিতর্ক দরকার! আমার জীবনের কথা মশলা দিয়ে প্রচার করে মিডিয়া হাউসগুলো মুনাফা করে। অসুবিধা নেই তবে বেশি ব্যক্তিগত হলে সেটা অস্বস্তির কারণ হয়।”
বছর ৩২-এর অভিনেত্রী নুসরত জাহানের পরবর্তী ছবি ‘স্বস্তিক সংকেত’ শীঘ্রই আসতে চলেছে। দুই মুখ্য চরিত্র প্রিয়ম ও রুদ্রাণী। রুদ্রাণীর মত চরিত্র পেয়ে অনেক খুশি নায়িকা। সেটা বেশ বোঝা যাচ্ছিল তাঁর মেজাজ দেখে। প্রশ্ন উঠেছিল, মুভির প্রিয়ম ও রুদ্রাণীর মত তাঁর আর যশের জীবন ও কি একরকম সমতায় আছে? তিনি বললেন, বারবার মানুষ যখন তাঁর স্বামীর কথা জানতে চায় তখন তাঁর মনে একটাই প্রশ্ন আসে যে সবাই কি সব জেনেও কিছু জানেনা। ছাদের মাথায় চিৎকার করে সব বলেন না বলেই বোধ হয় এত প্রশ্ন। শুধু একটা কথাই জানাবেন তিনি জশকে নিয়ে তাঁর নবজন্মা পুত্রকে নিয়ে সুখেই আছেন।
যশপত্নী আরও বলেন, সবাই তাঁকে নিয়ে এত কথা বললে একদিক থেকে গর্ববোধ হলেও মাঝে মাঝে অস্বস্তিও লাগে। তাঁর জীবনের এটা আদর্শ যে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে চান না। আর মানুষ মাত্রই ভুল করে, তিনিও ভুল করেছেন আবার সংশোধনও করেছেন। সবটা নিয়ে এত কন্ট্রোভার্সিয়াল করে দেখানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনেই করেন না। তাঁর মনে কষ্ট হয় না এতো যে দলাইমলাই করা হয় তাঁর সমস্ত বিষয় নিয়ে? “আগে দুঃখ পেতাম, এখন আর পাই না।” সবাইকে জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না নুসরত। যদি পরিবার বা অনুরাগীদের সাথে কোনো অসুবিধা হয় তবেই জবাব দেবেন, নয়ত নয়। তাঁর মতে,মানুষ বলছেন বলুন। তিনি তাঁর কথামতো জীবনের পথে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে চলবেন।