Hoop PlusTollywood

রাত তিনটের সময় কলা চেয়ে খেয়েছি: নুসরত জাহান

নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এই নামটার সঙ্গে অভিনয়, রাজনীতির গন্ধ লেগে থাকলেও সমলোচনা বা কটাক্ষের চরম বিদ্বেষ রয়েছে। ২০২১ সালেন চরম চর্চিত অভিনেত্রী তথা সাংসদ হলেন নুসরত জাহান। সম্প্রতি, মা হয়েছেন এবং মা হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাজের জগতে ফিরেছেন। এমনকি সংসদেও উপস্থিত হয়েছেন। এখন তার হাতে যেমন রয়েছে নতুন ছবির কাজ, তেমনই রয়েছে রেডিও টক শো।

‘Ishq with Nusrat – Bhalobashaye Bold’ হল নুসরতের রেডিও টক শোয়ের নাম। এখানে নানান সেলিব্রিটি আসেন। তাদের বোল্ড প্রশ্ন করা হয় এবং তারা সাহসিকতার সঙ্গে সেসব উত্তর দেন। প্রথমদিন এসেছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। তিনি এসেই তার সিক্রেট ফাঁস করেন। এসেছিলেন বং গাই কিরণ, এসেছিলেন মদন মিত্র সহ অনেকে।

এবার পালা খোদ নুসরতের নিজের। নিজেই নিজের সিক্রেট তুলে ধরলেন অনুরাগীদের সঙ্গে। এই টক শো-তে নুসরতের জন্য এক ব্যক্তির প্রশ্ন ছিল – চলতি বছরে তাঁর সবথেকে সাহসী পদক্ষেপ কী ছিল? প্রশ্ন খুবই চেনা, তাই সময় না নিয়ে তিনি সটান বলেন, ‘আমি ঘন্টায় -ঘন্টায়, মিনিটে মিনিটে বোল্ড স্টেপ নিতেই থাকি। সে সবটুকু তো আর উপুর করে বলা যাবে না, তবে চলতি বছরে নিজের সবথেকে সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে বলব মা হওয়ার পুরো জার্নিটা। মানসিক এবং শারীরিকভাবে অসম্ভব সব পরিবর্তনের শরিক হওয়া থেকে শুরু করে সেই সবকিছু মানিয়ে নেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। গর্ভে সন্তান থাকাকালীন শরীরে হরমোনের তারতম্যের ফলে নিজের আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকত না আমার। বাকি পাঁচজন মায়ের মতোই। ছোট্ট ছোট্ট বিষয়ে কারণ-অকারণে কেঁদে ফেলতাম , বাড়ির গাছ মারা গেলেও কেঁদে ফেলতাম। আবার কারণ-অকারণেও খুশি হতাম’। এছাড়াও তার ফুড হ্যাবিট এতটাই পরিবর্তন হয় যে তিনি রাত ৩ টের সময় উঠে কলা চাইতেন। অবশ্যই খেতে, কারণ তখন তার কলা খাওয়ায় মুড হতো।

এই শোতে এসে নুসরত তার শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন কিংবা ফুড হ্যাবিট নিয়েই কথা বলেননি, তিনি নিজের মোটা ঠোঁট ও নাক নিয়ে বহু কথা বলেছেন। একটা সময় তিনি তার মোটা নাকের জন্য কদর্য আক্রমণের শিকার হয়েছেন। এই শোতে তিনি জানান যে তার ঠোঁট সার্জারি হলেও নাক মোটেই সার্জারি করা নয়। তিনি বলেন, ‘যারা ভাবে যে আমি নাকের সার্জারি করিয়েছি তাঁদের উদ্দেশে বলি এই হরমোনের তারতম্যের জন্যই আমার নাকটা বড় হয়ে গেছিল। চামড়ার রং ‘টু টোনড’ হয়ে গেছিল। জেব্রার মতো লাগছিল। তবে এখন যেহেতু সন্তানের জন্ম দিয়ে ফেলেছি, তাই ধীরে ধীরে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসছি। পাশাপাশি এটুকু বলব যে হারে ট্রোলড হয়েছিলাম সেই সময়ে, অসম্ভব মানসিক জোর না থাকলে হয়তো পারতাম না’। এরপর এও যোগ করে নুসরত বলেন, ‘এটা আমার জীবন। তাই যা করেছি কোনও ভুল করেনি। আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।