এই মুহূর্তে টলিউডে সবথেকে বেশি চর্চিত কাপল বললে উঠে আসে একটি জুটির নাম বিশেষ করে, যশ আর নুসরত। বাংলার দর্শকরাও এই জুটির টক ঝাল গল্প বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন। এইতো সেদিন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার সময় অনেকেই যশ আর নুসরতের মিম বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যকর কন্টেন্ট বানিয়েছেন। অবশ্য, এতে যশ বা নুসরত কেউই বিরক্ত নন। তাহলে কি তারা উপভোগ করেন তাদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে? দর্শকরা যে এত মিম বানান যশ নুসরত কি পছন্দ করেন? উত্তর অবশ্যই ওনাদের জানা।
কিছুদিন আগে একুশের নির্বাচন শেষ হল। সেইসময় যশ নুসরতের সমালোচনা পর্ব একটু স্থিমিত ছিল। মানুষ ব্যাস্ত ছিল তৃণমূল বিজেপি নিয়ে। এখানেও একই ব্যাপার। দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা থাকলেও বেশ নাটকীয় ভাবে যশ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। তখন রব উঠলো নুসরত এই ব্যাপারে কিছুই জানতেন না। অথচ, সেই সময় দুজনে বহুবার ডিনার বা লাঞ্চে গিয়েছেন, যার একাধিক ছবি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নুসরত এবং যশ ব্যবহার করেছেন।
এবারেও নুসরত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখলেন এমন কিছু কথা, যা পড়লে এটাই অনুমান হয় যে নিখিলের থেকেও যশের ঘনিষ্ঠতা বেশি পছন্দ করেন নুসরত। এদিন নুসরত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লেখেন, “একজন সবসময় থাকে ভালবাসার নামে আঘাত দেওয়ার জন্য, একজন সবসময় থাকে সেই আঘাত নিরাময় করার জন্য।” এই লেখা দেখে সকলেরই আন্দাজ নুসরতের স্বামী নিখিল জৈন (Nikhil Jain)র উদ্যেশ্যেই ভালবাসার নামে আঘাত করার কথা বুঝিয়েছেন তিনি, পরের লাইনে সেই ব্যাথা নিরাময় করার কথা বলতে চেয়েছেন যশের উদ্যেশ্যে। দুজনের মধ্য তফাত কোথায়, তা যেন খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি যশ দাশগুপ্ত তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি গাড়ি চালানোর ভিডিও দিয়েছেন, যেখানে ট্যাগ করেছেন নুসরত ও মিমি চক্রবর্তীকে। ব্যাপারটা একটু গোলমেলে না?