সেলেব্রিটি আলোকচিত্রী ডাব্বু রত্নানি (Dabboo Ratnani)। তাঁর ক্যালেন্ডারে স্থান পান সাধারণত বলিউডের প্রথম সারির তারকারা। নবাগতরাও স্থান পান তবে তিনি যদি খুব সুপরিচিত মুখ হয়ে থাকেন। সেরকমই এক সন্ধ্যায় ডাব্বু রত্নানির কোন শোয়ে হাজির হয়েছিলেন রেখা। স্টেজে ওঠা মাত্রই সাংবাদিকদের আবদারে স্টেজের মাঝখানে যেতে হয় রেখাকে। চোখে তাঁর কালো সানগ্লাস। হঠাৎ তিনি পিছন ঘুরে চমকে ওঠেন। কেন সাংবাদিকরা তাঁকে স্টেজের মাঝখানে আসতে বলেছিলেন বেশ বুঝেছিলেন। যেইমাত্র অমিতাভ বচ্চনের ছবি তাঁর নজরে এল ঠিক তক্ষুনি মুখ ঘুরিয়ে স্টেজের একেবারে ধারে চলে গেলেন। তাহলে কি এখনো রেখা অমিতাভকে মনে মনে মিস করেন? খুব কি রাগ নাকি অভিমান তাঁর মনে? অথচ বিগ বি-র পুত্রবধূকে নিয়ে কত ছবি তুলেছেন রেখা। ঐশ্বর্যকে দেখলেই আদরে ভরিয়ে দেওয়া রেখা বারবার অমিতাভকে এড়িয়ে যান।
১৯৭৬ সালে দো আনজানের শ্যুটিং সেটে প্রথম পরিচয় রেখা-অমিতাভের। বহু সিনেমায় একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন, দিয়েছেন একের পর এক হিট সিনেমা। বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি রেখা-অমিতাভ। বলিউডের চিরসবুজ যৌন আবেদনময়ী অভিনেত্রী রেখা ও জয়া ১৯৮১ সালে একসঙ্গে কাজ করেন ‘সিলসিলা’ মুভিতে। ত্রিকোণ প্রেমের লাভস্টোরিতে জয়া ও রেখার মাঝে থাকেন অমিতাভ। ব্যাস এরপর আর কোন সিনেমায় অমিতাভ-রেখা জুটিকে দেখা যায়নি। কিন্তু খবর রটে যায় যে গোপনে নাকি অমিতাভকে বিয়েও করেছেন রেখা।
একটা সময় জয়া-অমিতাভের অনুরাগীরা রেখাকে বিভিন্ন ভাষায় কটাক্ষ করত। অনেকে ভাবতেন জয়া-অমিতাভের সাজানো বাগানে সাপ হয়ে এসেছেন নাকি রেখা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কটূক্তির শিকার হতে হয় রেখাকে। এই সম্পর্কের জেরে তিনি হয়েছেন নিন্দিত, বিতর্কিত, এবং উপেক্ষিত। কিন্তু রেখা কখনোই অমিতাভজী কে নিয়ে কু-মন্তব্য করেননি। পুরনো প্রতিবেদন থেকে সংগৃহীত, জয়া নাকি রেখাকে একদিন বলেন, ‘যা-ই হয়ে যাক, অমিতকে আমি কখনওই ছেড়ে যাব না।’ তবে কি জয়া-অমিতাভের অটুট বন্ধন থেকে নিজেই সরে যান রেখা? উল্লেখ্য, ৯৯০ সালে দিল্লীর প্রখ্যাত শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। তিনি আত্মহত্যা করলে সেরকম কোন খবর নেই যে তিনি আর অন্য কাউকে বিয়ে করেছেন। তবে অমিতাভ সম্পর্কে রেখার উক্তি যা সংগৃহীত, “আমি ওঁকে ভালবাসি, উনি আমাকে। এটাই সত্যি!” এখনো জয়া-অমিতাভের সম্পর্ক অটুট কিন্তু রেখা অমিতাভকে দেখলে এখনো এড়িয়েই চলেন। দেখুন সেই ভিডিও…………
View this post on Instagram