26 শে অগস্ট ভাগীরথী নেওটিয়া উইম্যান অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ইউনিট-এ সি-সেকশনের মাধ্যমে পুত্রসন্তান ঈশান (Yishaan)-এর জন্ম দিয়েছেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। এই সুসংবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে জানিয়েছিলেন যশ দাশগুপ্ত (yash Dasgupta)। এমনকি নুসরতকে ডিসচার্জের দিনও যশের কোলে দেখা গিয়েছিল ঈশানকে। এরপরেও অনেকেই নুসরতকে ঈশানের পিতৃপরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বাবাই জানে, বাবা কে!
এবার জনসমক্ষে এল ঈশানের পিতৃপরিচয়। সম্প্রতি নুসরত যশকে নিয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিতে এসেছিলেন পুরসভায়। সেদিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ সুব্রত রায়চৌধুরী (Subrata Roychowdhury)-র কাছে ঈশানের জন্ম শংসাপত্রে বাবার নামের জায়গা ফাঁকা রাখা নিয়ে আইনি জটিলতার ব্যাপারে জানেন নুসরত। এরপরেই এদিন রাত সাড়ে ন’টার পরে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতর জন্ম শংসাপত্রের ওয়েবসাইট আপডেট করতেই বেরিয়ে আসে সমস্ত তথ্য। অনলাইনে ঈশানের বার্থ সার্টিফিকেটের রেজিস্ট্রেশন নম্বর 1623।
কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটে দেখা গেছে ঈশানের শংসাপত্রে তার পুরো নাম রয়েছে ঈশান জে. দাশগুপ্ত। তার পিতার নাম রয়েছে দেবাশিস দাশগুপ্ত। যশের প্রকৃত নাম দেবাশিস যা তাঁর ভোটের প্রচারের সময়ই জনসমক্ষে এসেছিল। পিতৃপরিচয়ের নিচে রয়েছে মায়ের পরিচয়, নুসরত জাহান রুহি। বাবার পদবী ঈশানের পদবী হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অতএব মাতৃপরিচয় নয়, পিতৃপরিচয়েই পরিচিত হতে চলেছে ঈশান।
নিখিল জৈন (Nikhil Jain) আগেই অস্বীকার করেছিলেন নুসরতের সন্তানের পিতৃপরিচয়। নুসরতের মাতৃত্বকালীন সময় তাঁর পাশে থেকেছেন যশ। এখন ঈশানের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর তিনি। যশ জানিয়েছেন, ঈশানের সঙ্গে সময় কাটানো উপভোগ করছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ঈশানের ডাকনাম অংশ, এটি নুসরতের দেওয়া নাম।
View this post on Instagram