আপনার কি তৈলাক্ত ত্বক? তৈলাক্ত ত্বককে যদি বাঘে আনতে চান তাহলে আপনাকে নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিয়ম না মেনে চললে কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দেখতে একেবারে খারাপ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনরকম বাজার চলতি প্রোডাক্ট নয়। আপনি যদি আপনার ত্বকের উপরে ব্রণকে কন্ট্রোল করতে চান, তাহলে আপনাকে মেনে চলতে হবে কতগুলি ঘরোয়া উপাদান। ঘরোয়া উপাদান দিয়েই আপনি আপনার ত্বকের উপরে হওয়া ব্রণকে সহজে দূর করতে পারবেন। দেরি না করে আমাদের Hoophaap পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন অয়েলি ত্বককে কিভাবে আপনি ঘরোয়া উপাদান দিয়ে করবেন একেবারে ঝকঝকে পরিষ্কার করবে।
১) লেবুর রস – লেবুর রস ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড এবং অ্যাসট্রিনজেন্ট যা আপনার ত্বককে সুন্দর করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বককে অনেক বেশি টোনড করতে সাহায্য করে লেবুর রস।
কীভাবে করবেন- একটি তুলোর সাহায্যে আপনার ত্বকে ১ চা চামচ লেবুর রস এবং হাফ চা চামচ জলে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি করে নিয়ে এই মিশ্রণটি যদি আপনি লাগাতে পারেন, তাহলে দেখবেন আপনার ত্বক কেমন খুব সুন্দর হয়ে গেছে।
২) মধু – ত্বকের জন্য মধু ছাড়া ভাবাই যায় না, আগেকার দিনে অনেকেই মধু দিয়ে ত্বকের যত্ন করতেন অনেকেই।শুধু তাই নয়, রানী মায়েরাও দুধ বা মধু এবং গোলাপ জল দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতেন। এমন অনেক সময় বইয়ের পাতায় খুঁজে পেলে দেখা যেতে পারে, কিন্তু আপনিও মধু দিয়ে করতে পারেন অসাধারণ ত্বকের যত্ন।
কীভাবে করবেন-আপনার মুখে মধু ১৫ মিনিটের জন্য লাগিয়ে এবং শুকিয়ে নিন। গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) ডিমের সাদা অংশ – ডিমের সাদা অংশের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ। যা আপনার ত্বকে অনেক সুন্দর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তারা কিন্তু ডিমের সাদা অংশ অনায়াসে লাগাতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে জেনে নিন কিভাবে ব্যবহার করবেন ডিমের সাদা অংশ।
কীভাবে তৈরি করবেন- ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মুখে খুব ভালো করে লাগিয়ে অন্তত আধঘন্টা রেখে দিন। তারপরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪) শসা- শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম। এবার আসুন জেনে নিন কিভাবে শসা ব্যবহার করবেন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য।
কীভাবে ব্যবহার করবেন –প্রতিদিন রাতে শুতে যাবার সময় এক টেবিল চামচ শসার রস এবং এক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস মুখ পরিষ্কার করতে পারেন, এই অসাধারণ হোমমেড ক্লিনজার দিয়ে।
৫) কলা – কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই আর হয়েছে পটাশিয়াম। কলা একেবারে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ, আর এই কলা ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন – অর্ধেকটা কলা তার মধ্যে এক টেবিল চামচ দুধ এবং দুই থেকে তিন টেবিল চামচ ওটস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন তৈলাক্ত ত্বকে। খুব ভালো করে ম্যাসাজ করে পরিমাণ রেখে ফেলতে পারেন, দেখবেন কত সুন্দর এবং পরিষ্কার হয়ে গেছে।
৬) টক দই – টক দইয়ের মধ্যে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড। এটি আলতো ভাবে এক্সফ্ললিয়েট করতে সাহায্য করে। এবং ত্বকের উপরে থাকা অতিরিক্ত তেল সহজেই শোষণ করে দেয়। ভালো করে আপনার মুখে লাগাতে পারবেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন – দুই থেকে তিন টেবিল চামচ টক দই নিতে পারেন তার মধ্যে নিয়ে ফেলতে পারবেন এক টেবিল চামচ পাতি লেবুর রস। খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি ত্বকের প্রায় এক ঘন্টা লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৭) অ্যালোভেরা জেল – ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে, ত্বকের উপরে তৈলাক্ত সমস্যাকে দূর করতে অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। এই জেল এর গুণে আপনার ত্বক হবে সুন্দর। চলুন জেনে নিন কিভাবে এই জেল ব্যবহার করবেন।
কিভাবে ব্যবহার করবেন – অ্যালোভেরা জেলেই সঙ্গে বেশ কয়েক টেবিল চামচ পাতিলেবুর রস খুব ভালো করে মিশিয়ে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে একটি নাইট ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে ফ্রিজে রাখতে পারেন, কয়েকদিন পরে দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর পরিষ্কার, ঝকঝকে হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
