কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি ধারাবাহিকের বৃষ্টিকে মনে আছে। যে ছোট্ট মেয়েটি নিজের সাঁতারের জন্য প্রাণপণ করতে রাজী ছিল। নিজের অভিনয় দিয়ে বাংলার সকল মা কাকিমার প্রিয় পাত্রী হয়ে উঠেছিল তিনি আর কেউ নন মিমি দত্ত। মিমি আর আগের মতো ছোট নেই। বেশ বড় হয়ে গিয়েছে। ছোট্ট গোল গাল মিষ্টি মিমি এখন অনেক বেশি স্মার্ট আর বোল্ড অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। নিজের অভিনয় দিয়ে টেলিভিশন জগতের অতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে মিমি দত্ত।
মিমি অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও বেশ ভালো। ছোট থেকেই পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট আর পাওয়ার থিঙ্কিংয়ের ওপর চর্চায় ছিলেন। বই পড়তেও বেশ ভালোবাসতেন। তাই অভিনয় ছাড়াও কাউন্সেলিং এর কাজ করেন মিমি দত্ত। ৩ বছর বয়স থেকে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এখনও পর্যন্ত জিত ও প্রসেনজিতের সঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেছেন মিমি। এছাড়া স্বপন সাহার ‘দেবী ছবিতে ‘দেবী’ চরিত্রটি করেছিলেন তিনি। এছাড়া অভিনেত্রী ‘ভুতু’, ‘গোয়েন্দা গিন্নি’ ধারাবাহিকে ও কাজ করেছেন।
অভিনয় করতে করতে নিজের মনের মানুষের খোঁজ পান। ২০১১ সালে রূপসী বাংলার ‘আলোর বাসা’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে আলাপ ওমের সাথে। প্রথমে কোনো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠেনি কাজ নিয়ে কথা হত। তবে ভালোলাগা ছিল কিন্তু প্রেমে কোন পরিনতি পায়নি। শেষে ২০১৭ তে ফের দেখা হয় দু’জনের। শুরু হয় নতুন প্রেম। এরপর ২০২১ সালে নিজেদের প্রেমকে পরিনতি দিলেন ওম মিমি। করোনা আবহে জাঁকজমক নয় রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সাড়লেন।রেজিস্ট্রি ম্যারেজের দিন ওম পরেছিলেন গ্ৰে রঙের বেনারসি কাজ করা পাঞ্জাবি। তাঁর অর্ধাঙ্গিনী মিমি পরেছিলেন আগুনরঙা বেনারসি, তার সঙ্গে মানানসই করে সোনার গয়না। তবে হালকা মেকআপে লাগছিল দারুণ।
View this post on Instagram
নিজেদের রেজিস্ট্রির ছবি মিমি ও ওম নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বশেয়ার করেছেন ওম-মিমি দুজনেই। বিয়ের ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে ওম লিখেছেন, “মিস্টার ও মিসেস সাহানী হয়ে ওঠা সত্যিই অ্যাডভেঞ্চারাস লাগছে”। মিমি লিখেছেন, “তাঁরা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন মিস্টার ও মিসেস সাহানী হয়ে”। এতো হল রেজিস্ট্রি কিন্তু এখনো বাকি সোশ্যাল ম্যারেজ। ওম বিহারি হলেও বাঙালি মতেই হবে বিয়ে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন মিমি দত্ত ও ওম সাহানি। অবশ্য মিমি তিন দিন আগে বিহারি রীতি মেনে বিয়ের পুজোপাঠ করবেন । মিমি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বিয়ের দিন লাল বেনারসি, সোনার গয়নায় সাজবেন আর ওম ধূতি টোপর। বিয়ের মেনুতে থাকছে ওমের পছন্দের মাটন বিরিয়ানি আর মিষ্টি আসবে বিহারের ভদ্রেশ্বর থেকে। বিয়ের দিনক্ষণ জানা গেলেও রিসেপশান কবে জানা জায়নি। করোনা পরিস্থিতি আরও একটু স্বাভাবিক হলে রিসেপশনের তারিখ ও জানানো হবে।