হাওড়া থেকেও ছাড়বে অত্যাধুনিক অমৃত ভারত এক্সপ্রেস, এইসব বাড়তি সুবিধা মিলবে এই ট্রেনে
দ্রুতগতির ট্রেনের নাম শুনলেই সকলের মাথায় আসে জাপানের বুলেট ট্রেনের নাম। তবে সেই বুলেট ট্রেনকে এখন টক্কর দিচ্ছে সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে ভারতে তৈরি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ‘ট্রেন-১৮’ কোড নামে পরিচিত এই ট্রেনের গতি এখন আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে দূরের স্থানকে। গোটা দেশেই চালু হয়েছে বন্দে ভারতের পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও চালু হয়েছে এই সেমি-হাই স্পিড ট্রেনের যাত্রাপথ। রাজ্যে এখন একাধিক রুটে চলে এই ট্রেন।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পর কিছুদিন আগেই হাওড়া-পুরী রুটে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। তবে সম্পুর্ন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনটি বর্তমানে পুরোটাই চেয়ার কার, যার সিটগুলি ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরতে সক্ষম। এছাড়াও অটোমেটিক দরজা বন্ধ ও খোলার ব্যবস্থা সহ একাধিক আন্তর্জাতিক মানের সমস্ত পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনে। তাই দেশবাসীর কাছে মধ্যমনি হয়ে উঠেছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু তারপরেও অনেকের কাছে এই ট্রেনে সফর করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই ট্রেনের ভাড়া।
তবে এবার দেশবাসীকে সেই টেনশন থেকে মুক্তি দিতে বাম্পার ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে মোদি সরকার। এবার নবরূপে আনা হচ্ছে এই হাইস্পিড ট্রেনকে। আর সেই ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অমৃত ভারত এক্সপ্রেস’। এই মাসেই কমলা রংয়ের এই ট্রেনের যাত্রাপথ শুরু হবে দেশে। আর এই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী ৩০ ডিসেম্বর এই ট্রেনের সূচনা ঘটবে। সেই ট্রেন অযোধ্যা থেকে দ্বারভাঙ্গা পর্যন্ত যাবে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে নিয়মিত চলবে এই ট্রেন। যার মধ্যে একটি ট্রেন ছাড়বে বাংলা থেকেও। হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরু যাবে এই ট্রেন।
জানা গেছে, এই নতুন ট্রেনটি এটি রাজধানী এক্সপ্রেসের সমতুল্য হতে চলেছে। এই ট্রেনে মোট ২২টি কোচ থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে হাইটেক টয়লেট, মোবাইল চার্জিং, স্বয়ংক্রিয় দরজা, অত্যাধুনিক জানালা ও দরজা, মোবাইল চার্জার, হোল্ডার এবং পাবলিক ডিসপ্লে সিস্টেম। এছাড়াও এই ট্রেনে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য লাগানো হবে সিসিটিভি। জানা গেছে, এই ট্রেন পুশ পুল প্রযুক্তিতে চলবে। অর্থাৎ ট্রেনের দুদিকেই থাকবে ডব্লিউএপি-৫ ইঞ্জিন।