Hoop Special

ছুটির দিনে মন খারাপ না করে ঘুরে আসুন সোদপুরের সাঁই বাবার মন্দিরে, রইলো বিস্তারিত

গত বছর থেকে করোনাভাইরাস এর থাবা আমাদের শুধু শরীরে নয় মনেও বসিয়েছে। লকডাউন পর্ব যখন শিথিল হচ্ছে, তখন বাঙালির প্রিয় ঘুরে বেড়ানোর জায়গাগুলিতে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। বাঙালির প্রিয় ঘুরে বেড়ানোর জায়গা বলতেই প্রথমে যে জায়গাগুলো নাম মনে পড়ে তাহলে দিপুদা অর্থাৎ দীঘা, পুরী, দার্জিলিং। তবে বর্তমানে এসব জায়গায় যেতে গেলে অনেক নিয়ম পালন করতে হচ্ছে।

তাই অনেকেই মন মেজাজ খারাপ করে ঘরেতে চুপটি করে বসে রয়েছেন। তবে আর মন খারাপ করতে হবে না কাছেপিঠে ঘুরে বেড়াতে অবশ্যই যেতে পারেন সোদপুরের সাঁইবাবার মন্দির। বাড়ির বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষদের নিয়ে সমস্ত করোনা বিধিনিষেধ মেনে একদিন আউটিং মন্দ হবে না।

এই সাঁইবাবার মন্দির প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ছয়টা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। আবার বিকেলে তিনটে থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে ছুটির দিনে নটা পর্যন্ত খোলা থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রতি বৃহস্পতিবার সাঁইবাবার তিথিতে বিশেষ ভোগ আরতি নিবেদন করা হয়।

মন্দির বন্ধের সময় দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে বিকেল তিনটে পর্যন্ত। তবে যারা গিয়ে এখানে ভোগ খেতে চান অবশ্যই এগারোটার মধ্যে গিয়ে নাম লেখাতে হবে। ঝকঝকে সুন্দর পরিবেশে একটা দিন আপনার কিভাবে কেটে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না।

সাঁই বাবার মন্দির এর আশেপাশে প্রচুর গোলাপ ফুল এবং মিষ্টির দোকান রয়েছে। যদি মন চায়, তাহলে বাবাকে অবশ্যই গোলাপ ফুল নিবেদন করতে পারেন। সকাল বেলা থেকেই বাবার মন্দির চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য তোড়জোড় লেগে যায়।

অনেকেই আছেন যারা সাঁই বাবার ভক্ত, তাই অতদূরে সাঁইবাবার থানে যাওয়ার সবসময় সম্ভব হয় না। তবে সেই জায়গাকার খানিকটা ফ্লেভার পেতে অবশ্যই সোদপুরের এই মন্দিরে একবার ঘুরে আসুন। মন্দিরে চারবেলা আরতি হয়। যথাক্রমে সকাল ছটা দুপুর বারোটা বিকেল সাড়ে পাঁচটা ও রাত সাড়ে আটটা।

এবার দেখে নিন কিভাবে মন্দিরে যাবেন। ট্রেনে অবশ্যই নামতে হবে সোদপুর স্টেশনে। সেখান থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটা পথে আসতে হবে ট্রাফিক মোড়। ট্রাফিক মোড় থেকে সাঁইবাবার মন্দির ৩ মিনিট হাঁটা পথ৷ সুখচর গির্জা স্টপেজের রাস্তার একদম ওপরেই বাবার মন্দির।

সড়ক পথে আসেন তাহলে অবশ্যই বিটি রোডের সুখচর গির্জা স্টপেজে নেমে দেখবেন সামনেই বাবার মন্দির। এর উল্টো দিকেই রয়েছে রাজা বিস্কুট ফ্যাক্টরি। এছাড়া যারা নদী পেরিয়ে আসবেন তারা রিষড়া ঘাট থেকে নদী পেরিয়ে খরদা রাশখলায় নেমে অথবা টোটোয় মন্দির আসতে পারেন।

Related Articles