Chanting: রাতে শুতে যাওয়ার সময় একটি মন্ত্র তিনবার জপ, জীবন বদলে দেয়
বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকেই নানান সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঘুমোতে যাওয়ার আগে যদি হনুমান জি কে স্মরণ করেন তাহলে সমস্ত দুঃখ কষ্ট থেকে আপনি বিরত থাকবেন। সেক্ষেত্রে হনুমানজির স্বয়ং সেই ভক্তির সমস্ত দুঃখ, কষ্ট যন্ত্রণা সমস্যা ইত্যাদি দূর করে। হনুমানজির আরেক নামই হল সংকটমোচন। উনি আমাদের প্রত্যেককে বিভিন্ন রকম সমস্যা ও সংকট থেকে স্বয়ং রক্ষা করে থাকেন। একথা ১০০% সত্য যে, আপনার উপর যদি মহাবীরের আশীর্বাদ বিদ্যমান থাকে তাহলে জীবনে চলার পথটা এতটা সহজ সরল হয়ে যাবে যা সত্যি কল্পনার বাইরে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো হনুমানজির আশীর্বাদ কিভাবে লাভ করা সম্ভব বা কিভাবে অতি সহজ ভাবে হনুমানজিকে প্রশ্ন করবেন? আপনারা যদি হনুমানজিকে সত্যি প্রশ্ন করতে চান। তার একটি সহজ মাধ্যম হল সর্বদা ওনার কথা চিন্তা করবেন, ওনার কথা ভাববেন। মনে মনে বলবেন তিনি যেন সকলের ভালো করেন। মনে মনে যা ইচ্ছা উনার কাছে হাতজোড় করে প্রার্থনা করে চাইতে পারেন। কিন্তু আমার এটা চাই, আমার টাকা চাই অর্থাৎ গাড়ি চাই, বাড়ির চাই এরকম ভাবে বলবেন না। বলবেন প্রভু তোমার দয়াতেই আমি সমস্ত কিছু পেয়েছি। তুমি আমায় যথেষ্ট বুদ্ধি দাও, বিবেক দাও এবং আমার পাশে থেকো। আমার জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলো।
এইভাবে আপনারা নিজের মনস্কামনা সন্তর্পনে হনুমানজি কে জানাবেন। উনি নিশ্চয়ই আপনার সকল মনস্কামনা অবশ্যই পূরণ করবেন। তথা হনুমানজিকে যদি আপনারা পেতে চান তাহলে কিন্তু প্রভু শ্রী রামকে যথাযোগ্য সম্মান আপনাদেরকে করতে হবে। রাম ছাড়াও হনুমানজি অসম্পূর্ণ। যেখানেই রাম সেখানেই বীর বাজরাংগী। সর্বদাই বসবাস করে থাকেন। সুতরাং নিজের ধ্যান জ্ঞান চিত্তে প্রভু শ্রী রামের স্মরণ অবশ্যই করবেন। দেখবেন আপনারা প্রভুর আশীর্বাদে সঙ্গে সঙ্গে বাজরাংবালি আশীর্বাদক খুব সহজেই লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন।
জীবনে যত বড়ই বাধা-বিপত্তি সমস্যা আসুক না কেন সে ক্ষেত্রে আপনি যদি পবিত্র মনে হনুমানজির নাম জপ করেন ওনাকে স্মরণ করেন, তাহলে দেখবেন আপনাদের জীবনের সমস্ত বাধা বিপত্তি কেটে গেছে। হনুমানজি স্বয়ং কোন না কোন ভাবে ঠিক করে দিয়েছেন। রাত্রে বেলায় ঘুমানোর পূর্বে এমন কিছু কাজ কখনোই করা উচিত নয়। প্রথমে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বেই আপনারা আপনাদের সদর দরজার সামনে এটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখবেন। যেন কোন মতেই দরজার সামনেই কোন নোংরা আবর্জনা পড়ে না থাকে। কারো এমনটা যদি হয় তাহলে আপনার গৃহে বাস্তুদোষ সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে মা লক্ষ্মী আপনার কাছে কখনোই প্রবেশ করবেনা।
সূর্য অস্ত যাওয়ার পর কখনো আপনারা কাউকে কোন ভাবেই কিছু দান করবেন না। যদি প্রদান করা অতি পবিত্র। একটি কাজগুলি শাস্ত্রে ব্যাখ্যা রয়েছে, তা সত্ত্বেও আপনারা রাত্রি বেলাতে কাউকে কোনভাবেই দান করবেন না। কারণ এতে মা লক্ষ্মী আপনার ওপর অত্যন্ত রাগান্বিত হতে পারেন। বিশেষ করে সাদা রঙের কোন জিনিস যেমন দুধ, চাল আপনারা কিন্তু সন্ধ্যার পর কাউকে দেবেন না। শুতে যাবার সময় অন্তত তিনবার এই মন্ত্রটি জপ করবেন এতে আপনার জীবনে অনেক উন্নতি হবে। মন্ত্র টি হল – ওম শ্রী হনুমতে নমঃ
