whatsapp channel

Saregamapa: বাংলা গান গাইতে সাহায্য নিয়েছেন কাবো: পদ্মপলাশ

কয়েকদিন আগেও কেউই চিনতেন না পদ্মপলাশ হালদার (Padmapalash Halder)-কে। কিন্তু ‘সারেগামাপা'-র দৌলতে বর্তমানে বদলে গিয়েছে জীবন। বিতর্ককে সঙ্গী করেই জি বাংলার সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-য় সেরার শিরোপা পেয়েছেন পদ্মপলাশ। যদিও…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

কয়েকদিন আগেও কেউই চিনতেন না পদ্মপলাশ হালদার (Padmapalash Halder)-কে। কিন্তু ‘সারেগামাপা’-র দৌলতে বর্তমানে বদলে গিয়েছে জীবন। বিতর্ককে সঙ্গী করেই জি বাংলার সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-য় সেরার শিরোপা পেয়েছেন পদ্মপলাশ। যদিও ‘ভিউয়ারস চয়েস’ ট্রফি উঠেছে তাঁর সহ প্রতিযোগী অ্যালবার্ট কাবো (Albert Kaboo Lepcha)-র হাতে। এখনও অবধি পদ্মপলাশের জয় ঘিরে সমালোচনা অব্যাহত। প্রায় সকলেই বলছেন, বিচারকরা সঙ্গীতগুরু অজয় চক্রবর্তী (Ajay Chakraborty)-কে তুষ্ট রাখতে জিতিয়ে দিয়েছেন তাঁর ছাত্র পদ্মপলাশকে। তবে সমালোচনায় ভেঙে না পড়ে পদ্মপলাশ নিজের সাফল্যকে জীবনের অসাধারণ স্মৃতি হিসাবেই দেখছেন।

Advertisements

একসময় গ্রামেগঞ্জে কীর্তন করতেন তিনি। ‘সারেগামাপা’-র অডিশনও দিয়েছিলেন কীর্তনিয়া হিসাবেই। গ্র্যান্ড অডিশনের পর পদ্মপলাশের গান বিচারকদের পছন্দ হয়ে যায়। দর্শকদেরও পছন্দ হয়েছিল তাঁর গান। যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। তবে প্রতিযোগিতার কারণে পদ্মপলাশকে কীর্তন ছাড়াও অন্য ঘরানার গান গাইতে হয়েছে। সাফল্য বাড়িয়ে দিয়েছে তাঁর দায়িত্ব। আট মাসের সুরেলা সফরে তাঁর সবচেয়ে বড় সঞ্চয় মানুষের ভালোবাসা ও গুরুদেবদের আশীর্বাদ। পদ্মপলাশ মনে করেন, যোগ্যতার তুলনায় তিনি অনেক বেশি ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পেয়েছেন। পূর্ণ হয়েছেন তিনি।

Advertisements

Advertisements

তবে পদ্মপলাশ মনে করেন, প্রত্যেক ফাইনালিস্ট নিজের স্থানে সেরা। একদিকে কাবোর ভয়েসে যেমন ফ্লেক্সিবিলিটি ও আলাদা স্টাইল রয়েছে, অপরদিকে সোনিয়া রকিং। বুলেটও অসাধারণ রক সঙ্গীত গান। তবে ফাইনালিস্টদের সকলের মধ্যে যথেষ্ট ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে বলে জানালেন পদ্মপলাশ। ‘ভিউয়ারস চয়েস’-এ কাবো বিজয়ী হওয়ায় তিনি খুশি। গত আট মাস ধরে পর্দার সামনে সকলে আনন্দ করে গান গেয়েছেন। তবে পদ্মপলাশ জানালেন, পর্দার পিছনেও কম খুশি ছিলেন না তাঁরা। সকলে মিলে গানের রেওয়াজ করতেন। বাংলা গানের ক্ষেত্রে কাবো সাহায্য চাইতেন পদ্মপলাশের। একই ভাবে অন্য ধাঁচের গান গাইতে পদ্মপলাশ নিয়েছেন কাবোর সাহায্য। এর মধ্যেই ছিল কয়েকজন প্রতিযোগীর জন্মদিন। তা একসাথে পালন করেছেন সকলে। গত আট মাস একে অপরের সাথে যথেষ্ট আনন্দে কাটিয়েছেন তাঁরা।

Advertisements

অন্য ঘরানার গান গাইলেও পদ্মপলাশ বরাবর কীর্তনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তিনি জানালেন, এমন অনেক পদাবলী আছে যা মানুষ শোনেননি। ফলে কীর্তনকে আরও বেশি করে শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দিতে চান তিনি। কারণ পদ্মপলাশ মনে করেন, কীর্তন তাঁদের ঐতিহ্য। তবে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে অবশ্যই প্লে ব্যাক করবেন বলে জানালেন পদ্মপলাশ।

whatsapp logo
Advertisements