পরমা বন্দ্যোপাধ্যায় (Paroma Banerji), নামটার সঙ্গে পরিচিত অনেকেই। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে টেলিভিশনের জনপ্রিয় শো রোজগেরে গিন্নির সঙ্গে তাঁর যোগ ওতপ্রোত। তখনও দিদি নাম্বার ওয়ান আসতে ঢের দেরি। বিভিন্ন বাড়ি বাড়ি ঘুরে গৃহবধূদের গল্প শোনা, মজার মজার খেলার মধ্যে দিয়ে তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা হত এই শোতে। সপ্রতিভ, আন্তরিক সঞ্চালনার মাধ্যমে দর্শকদের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিয়েছিলেন পরমা। তাঁকে দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন বহু দর্শক। তবে পরমার রয়েছে আরো একটি পরিচয়। তিনি সঙ্গীতশিল্পী। বহু জনপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে অবশ্য বিনোদন জগৎ থেকে খানিক দূরত্ব বাড়িয়ে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করেছেন পরমা। শাড়ির ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত জীবনেও বেশ ভালো আছেন। তবে সম্প্রতি একটি বড়সড় কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছেন তিনি। অন্তত তাঁর কাছে বড় ব্যাপারই বটে। অন্তর্বাসের গোপনীয়তার ছুঁতমার্গ থেকে বেরিয়ে এসেছেন পরমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে কিছু কথা লিখেছেন তিনি।
পরমার কথায়, তাঁরা যখন বড় হয়ে উঠেছেন সে সময়ে শাড়ির ব্লাউজ বা স্লিভলেস টপের ফাঁকে ব্রায়ের স্ট্র্যাপ দেখা গেলেই শুরু হত নিন্দা। বাড়ির বয়স্ক, কাকিমা, মাসিমা বা বড় দিদি হয়তো ছুটে এসে আড়াল করে অন্তর্বাসের ফিতে ঢুকিয়ে দিতেন পোশাকের মধ্যে। তিনি নিজে এই কারণে সারা জীবন হাতকাটা পোশাক এড়িয়ে চলেছেন বলে জানান পরমা। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলেছে।
পরমা বলেন, বর্তমানে এমন পোশাক তৈরি হচ্ছে যেগুলি যেমন ভাবেই পরা হোক না কেন অন্তর্বাসের ফিতে দেখা যাবে। তিনি বলেন, এখন এই জীবনের ৫০ এ এসে তরুণ তরুণীদের স্লিভলেস টপের ফাঁকে বাহারি অন্তর্বাসের ফিতে শো অফ করার সাহসিকতা দেখে মুগ্ধই হন তিনি। গরমে এমন পোশাক আরামদায়কও মনে হয়। তাই ৫০ এর কোঠায় এসেই সাহসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরমাও। এ বিষয়ে স্বামী আর দুই ছেলেই তাঁকে সাহস যুগিয়েছে বলেও জানান গায়িকা।