Hoop NewsHoop Trending

Partha-Arpita: আদালতের কক্ষে ‘অপা’র শুভদৃষ্টি! ৭ মাস পর চোখে চোখে কথা হল দুজনের

“রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা, / ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন। / আগে ওকে বারবার দেখেছি…..”। রবি ঠাকুরের ‘হঠাৎ দেখা’ কবিতার বাস্তবায়ন এবার দেখা গেল আদালতের বিচারকক্ষে। দীর্ঘ সাতমাস পর আদালতের এক ছোট্ট ভুলের দৌলতে মুখোমুখি পার্থ-অর্পিতা। মাঝের সময়ে গড়িয়েছে অনেক জল। ঘাত, প্রতিঘাত ও জেলের কুঠুরির অন্ধকারে দিন কেটেছে দুজনের। শুধু যেটা হয়নি, সেটা হল এক পলকের সাক্ষাৎ। গত জুলাইয়ে পর থেকে একবারের জন্যও মুখোমুখি হননি ‘অপা’। তবে মঙ্গলবার সব দূরত্ব কাটিয়ে একে অপরের দেখা পেলেন একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। নিঃশব্দে দুজনেই বলে গেলেন অনেক কিছু।

বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিনের আবেদন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল আদালতে। সশরীরে আদালতে হাজির ছিলেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বসেই আদালতের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় তাকে। সময়মতো শুরু হয় সওয়াল-জবাব। কিন্তু আচমকা একি! অন্যদিকের ভার্চুয়াল স্ক্রিনজুড়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ঠিক যেন দুদিক থেকে ‘শুভদৃষ্টি’ হচ্ছে ‘অপা’-র। এই মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে যায় আদালতের কার্যকলাপ। হতবাক সকলেই। মুখে কথা নেই পার্থ ও অর্পিতা দুজনেরই। নীরবে দুজন দেখলেন দুজনকে। চোখে চোখে হল হাজারো কথা।

এই ‘হঠাৎ দেখা’-র মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে প্রথমে বিচারপতি দ্বীপ্ত কণ্ঠে প্রশ্ন করেন যে এটি কি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন পেশ হচ্ছে। তার কণ্ঠে জুড়েছিল একরাশ বিরক্তি। যদিও বিচারকের এই প্রশ্নে অর্পিতার আইনজীবী জানান যে তিনি কোনো জামিনের আবেদন করেননি। অন্যান্য আইনজীবীরা জানান যে এটি ভুলবশত কানেক্ট হয়ে পড়েছে। আর তৎক্ষণাৎ এই ভুল সংশোধনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হয়ে অর্পিতার কানেক্ট। আবারো দূরে সরে যান পার্থ-অর্পিতা।

কিন্তু কেন এই ভুল হল আচমকা? এই বিষয়টি নিয়ে যেমন আদালত চত্বরে নানা গুঞ্জন শোনা যায়, তেমনই বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলেও। কারণ গত জুলাই মাসে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। অন্যদিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় রয়েছেন আলিপুর জেলের মহিলা বিভাগে। এই দীর্ঘ সাতমাসে কখনোই দুজনকে সামনাসামনি আনা হয়নি। তাহলে আচমকা এত বড় ভুল ঘটল কিভাবে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরছে সব মহলেই।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা