Arpita Mukherjee: অর্পিতার যে দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পার্থ
রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)-কে বৃহস্পতিবার পেশ করা হয়েছিল নগর দায়রা আদালতে। তাঁর মুখে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য জন্ম দিয়েছে জল্পনার। অবশ্যই তা শাসকদলকে ঘিরে। মিডিয়ার সামনে পার্থ এদিন বলেন, কেউ ছাড়া পাবে না। এরপরেই সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতি ঘিরে। ইতিমধ্যে পার্থর মোবাইল ফোন ঘেঁটে ইডির হাতে উঠে এসেছে বেশ কয়েকটি মেসেজ যা থেকে বোঝা গিয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)-র জীবন বীমার প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ।
ইডির দাবি, অর্পিতার নামে রয়েছে একত্রিশটি জীবন বীমা যাতে নমিনি হিসাবে রয়েছে পার্থর নাম। অর্পিতার জীবন বীমা সংক্রান্ত মেসেজ আসত পার্থর হোয়্যাটসঅ্যাপ নম্বরে। এমনকি জীবন বীমার নথিতে যোগাযোগের নম্বর হিসাবে দেওয়া হয়েছিল পার্থর ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার। ইডির তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি (Firoz Edulogi) এদিন পার্থর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর মতে, অর্পিতার নামে নেওয়া জীবন বীমাগুলিতে নমিনি হিসাবে পার্থর নাম তাঁদের দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত দেয়। একত্রিশটি জীবন বীমায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। এই অর্থের উৎস খুঁজতে পার্থ ও অর্পিতাকে যথেষ্ট জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন ফিরোজ। এমনকি এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে সংশ্লিষ্ট বীমা সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরোজ।
শুধুমাত্র জীবন বীমাই নয়,অর্পিতার নামে বীরভূমের বোলপুর মৌজায় রয়েছে একাধিক সম্পত্তি। এছাড়াও উত্তর চব্বিশ পরগনার দোবাগাছিতে একটি ফার্ম হাউস ও পিকনিক স্পটের যৌথ মালিকানা রয়েছে পার্থ ও অর্পিতার নামে। অর্পিতার নামে কলকাতার বুকে রয়েছে কয়েকটি নেল আর্ট পার্লার। এছাড়াও তাঁর ডায়মন্ড সিটি ও রথতলার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, ফরেক্স ও সোনা।
অর্পিতা জেরার মুখে জানিয়েছেন, তাঁর আধার কার্ড ও প্যান কার্ড ব্যবহার করেছিলেন পার্থ। কিন্তু ওই টাকা, গয়না ও সম্পত্তির উপর সরাসরি অর্পিতার অধিকার ছিল না। এদিন পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।
View this post on Instagram