Payel De: বিয়ে ভাঙলেন অভিনেত্রী পায়েল, ব্যাপারটা কি!
দেনা-পাওনা হোক, তার পরে তো বিয়ে! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সময় থেকে বর্তমান সমাজের দিকে তাকালে চোখ পড়ে হাজারো উন্নতি হয়েছে এতদিনে। অথচ এখনো পর্যন্ত এমন কিছু পরিবার রয়েই গেছে যেখানে এই দেনা-পাওনার কারণে বৈবাহিক সম্পর্কে অনেকই গুরুতর অশান্তি এসে যায়। এমনই একটি প্রেক্ষাপট দেখা যাচ্ছে কালারসের নতুন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সোনা রোদের গান’এ।
অতিসম্প্রতি কালার্স বাংলা চ্যানেল থেকে একটি প্রোমো সামনে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গল্পের নায়িকা আনন্দী ওরফে পায়েল দে সাত পাক ঘুরছেন বিক্রম ওরফে সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে। কিন্তু হঠাই থেমে যায় বিয়ে। কি হলো? আনন্দীর বাবা মেঝেতে আচমকাই পড়ে যান। ডাঃ অনুভব ওরফে ঋষি কৌশিক পালস চেক করে জানিয়ে দেন বাবা মারা গেছেন। চিৎকার করে ওঠেন পায়েল। বিয়ে ভেঙে দেন বিক্রমের সাথে।
প্রসঙ্গত, বিক্রমের পরিবার বৌমার বাপের বাড়ি থেকে পণ হিসেবে বেশ মোটা টাকার একটি গাড়ি চেয়ে বসেছিল। আশি লাখ টাকার গাড়ি। এই ভয়ংকর চাপ নিতে পারেননি গৃহকর্তা। শেষমেষ প্রাণটাই হারিয়ে বসলেন। এদিকে আনন্দীর বোন তো আনন্দীকেই দোষারোপে ব্যস্ত। আনন্দী কিন্তু কষ্টের ঘোরে ঠিক পদক্ষেপই নিল। “তোমার লোভের জন্য আজ বাবা নেই” বিক্রমকে সপাটে বলে মন্ডপ ছেড়ে বেরিয়ে এল।
View this post on Instagram
নেটিজনের এক অংশ ভীষণ চিন্তায়। কি হবে আনন্দীর? বাঙালি সংসারে মেয়ের বিয়ে ভাঙা তো একটি বিশাল বিষয়। কেউ কেউ আবার ভেবেই নিয়েছেন, কিছুদিন পরই ডাঃ অনুভবের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে। এবার কি তবে বিক্রম ভিলেন হবে? দেখাই যাক তবে। লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বরাবরই মেয়েদের হয়ে কথা বলেন। এই ক্ষেত্রেও অন্যথা করেন নি। পিতৃহারা হয়ে এক সমর্থ বাঙালি মেয়ে কিভাবে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এগোতে পারেন সেটাই লেখিকা সামনে আনবেন এবার।