পয়লা বৈশাখের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল গ্রীষ্মের দাবদাহ। ক্রমশ বেড়ে চলেছে গরম। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মিম। কিন্তু সেলিব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ প্রায় প্রত্যেকেই নাজেহাল এই গরমে। সমগ্র বাংলা জুড়ে চলছে তাপপ্রবাহ। ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুপুর এগারোটার পর ঘরের বাইরে বেরোতে চাইছেন না মানুষ। নবান্নর তরফে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষিত হয়েছে আগামী কিছুদিনের ছুটি। কিন্তু পেশাদার মানুষ বা চাকুরীজীবিদের বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। বিনোদন জগতের বিভিন্ন ধারাবাহিকের শুটিং আউটডোরে হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে ‘পঞ্চমী’, ‘রাঙা বউ’-এর মতো কিছু ধারাবাহিক। গ্রীষ্মের দাবদাহে আউটডোরে শুটিং করা প্রায় কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়ছে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা। এমতাবস্থায় একটি বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইন্টার্ন ইন্ডিয়া।
সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas) প্রযোজক গীল্ড ও ইম্পা মেল করে বিশেষ একটি আলোচনা সভা আহ্বান করেছেন। তিনি জানালেন, এই গরমে শুটিং করা যথেষ্ট কষ্টকর। ফলে দুপুরে যাতে শুটিং বন্ধ রাখা যায়, তার প্রস্তাব পেশ করতে চলেছেন তিনি। আউটডোর শুটিং-ও বর্তমানে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চান স্বরূপবাবু। এছাড়াও জারি হতে চলেছে একাধিক নিয়ম। এমনিতেও স্টুডিওপাড়ায় ধারাবাহিকের শুটিংয়ে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ছাড়া ছুটি পাওয়া যায় না। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেকদিন চৌদ্দ-পনের ঘন্টা শুটিং চলে।
আউটডোর শুটিং বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ‘পঞ্চমী’ ধারাবাহিকে খালি পায়ে হাঁটার দৃশ্য থাকলেও শিল্পীরা জানাচ্ছেন, গরম পিচের রাস্তায় হাঁটলে পায়ে ফোস্কা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ফলে শুটিং-এর পর রাস্তায় জল ঢালা হচ্ছে। মজুত থাকছে ছাতা ও স্লিপার। তবে সমস্যা কম নয় ইন্ডোর শুটিং-এও।
বর্তমানে স্টুডিওর ফ্লোর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত হলেও অধিকাংশ স্টুডিও একসময় কারখানা ছিল। এমনকি পুরানো স্টুডিওর পরিকাঠামোতেও রয়েছে সমস্যা। ফলে এই ধরনের স্টুডিওগুলির গঠনগত সমস্যা ও ফ্লোরের জোরালো আলোর কারণে গরমকালে এমন কিছু সুবিধা হচ্ছে না।
View this post on Instagram