whatsapp channel

Mithun Chakraborty: র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ মিঠুনের বিরুদ্ধে!

‘র‌্যাগিং’ শব্দটির সাথে দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে পরিচিত ছাত্রসমাজ। তবে সেই সময় র‌্যাগিং হিংস্র রূপ ধারণ করেনি। তবে জুনিয়ররা কোনো প্রতিষ্ঠানে ঢুকলে অবশ্যই এই বিশেষ কারণে ভয় পেতেন সিনিয়রদের। তবে…

Avatar

Nilanjana Pande

Advertisements
Advertisements

‘র‌্যাগিং’ শব্দটির সাথে দীর্ঘ কয়েক শতক ধরে পরিচিত ছাত্রসমাজ। তবে সেই সময় র‌্যাগিং হিংস্র রূপ ধারণ করেনি। তবে জুনিয়ররা কোনো প্রতিষ্ঠানে ঢুকলে অবশ্যই এই বিশেষ কারণে ভয় পেতেন সিনিয়রদের। তবে শক্তি কাপুর (Shakti Kapoor)-কে অবশ্য দিতে হয়েছিল খেসারত এবং তাও সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)-র কাছে। সম্প্রতি শক্তি নিজেই এই তথ্য ফাঁস করেছেন।

Advertisements

ঘটনার সময়কালে বলাই বাহুল্য, মিঠুন তখনও সুপারস্টার হননি। সেই সময় তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ছাত্র। শক্তিও সবেমাত্র ভর্তি হয়েছেন পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে। সেই সময় ওই ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ছিল যথেষ্ট কঠিন এবং অবশ্যই গর্বের ব্যাপার। শক্তির একাধিক অভিজ্ঞতা রয়েছে পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটকে ঘিরে। রয়েছে প্রচুর নস্টালজিক মুহূর্ত। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে পুণে এফটিআই সম্পর্কে বলতে গিয়েই শক্তি তুলে আনেন র‌্যাগিং-এর প্রসঙ্গ। সেই সময় শক্তির সাথেই পুণে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটে পড়তেন রাকেশ রোশন (Rakesh Roshan)। তাঁদের সিনিয়র ছিলেন মিঠুন। রাকেশের সাথে হস্টেলে গিয়েছিলেন শক্তি।

Advertisements

 

View this post on Instagram

 

A post shared by @mithun.chakraborthy

Advertisements

রাকেশের সাথে শক্তি হস্টেলে ঢুকে দেখেন, একজন ব্যক্তি ওয়ার্কআউট করছেন। রাকেশ তাঁর সাথে ওই ব্যক্তির পরিচয় করিয়ে দেন। শক্তি জানতে পারেন, ওই ব্যক্তির নাম মিঠুন। শক্তিই প্রথমে মিঠুনকে বিয়ার খেতে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মিঠুন বলেন, তিনি মদ্যপান করেন না। এইখানেই ছিল শক্তির ভুল। তিনি নিজের সিনিয়রকে বিয়ার খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন যা মিঠুনের পছন্দ হয়নি। সেই সময় সিনিয়রদের এই প্রস্তাব দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন হত। ফলে রাকেশ চলে যেতেই শক্তির চুলের মুঠ ধরে রীতিমত নাড়িয়ে দিয়ে মিঠুন বলেন, তিনি যেন ভুলে না যান, মিঠুন তাঁর সিনিয়র।

Advertisements

এরপর মিঠুন ও তাঁর দুই বন্ধু শক্তিকে একটি ঘরে নিয়ে যান। ঘরের সমস্ত আলো নিভিয়ে দিলেও শক্তির মুখের উপর স্পটলাইটের মতো একটি আলো ফেলে রাখা হয়। মিঠুন জিজ্ঞাসা করেন, এরপরও কি বিয়ার খেতে চান শক্তি! এমনকি মিঠুন ও তাঁর বন্ধুদের সমস্যা ছিল শক্তির হিরো মার্কা চুলের ছাঁট নিয়েও। কলেজে এই ছাঁট না চলার অজুহাতে কাঁচি নিয়ে এসে মিঠুন কেটে দিয়েছিলেন শক্তির চুল। শক্তি কান্নাকাটি করে তাঁদের পায়ে ধরেও লাভ হয়নি।

এরপর মিঠুন ও তাঁর বন্ধুরা শক্তিকে সুইমিং পুলে নিয়ে যান এবং চল্লিশটি ল্যাপ করতে বলেন। তবে শক্তির কান্না দেখে পরে তাঁকে ছেড়ে দেন মিঠুন। পরবর্তীকালে মিঠুন ও শক্তি একসাথে ‘ডান্স ডান্স’, ‘পেয়ার কা কর্জ’-এর মতো ফিল্মে অভিনয় করেছেন। এগুলি ছিল ব্লকবাস্টার হিট। বর্তমান সময়ে দুইজনের সম্পর্কও যথেষ্ট সুন্দর। তবু শক্তি ভুলতে পারেননি সেই দিনটির কথা। কারণ একেই বলে র‌্যাগিং।

whatsapp logo
Advertisements