বলিউডের স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী জিনাত আমন (Zeenat Aman)। জিনাত যখন ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন, তখন ছিল শাড়ি পরিহিতা, ছলছল চোখের নায়িকাদের যুগ। কিন্তু স্টিরিওটাইপ ভেঙে ইন্ডাস্ট্রিতে আধুনিকতা নিয়ে আসেন জিনাত। বেলবটস পরিহিতা, চোখে সানগ্লাস ও ঠোঁটে সিগারেটের মাধ্যমে বলিউডে শুরু হয় ‘জিনাত যুগ’।
View this post on Instagram
শৈশব থেকেই ভালোবাসার কাঙাল ছিলেন জিনাত। ছোটবেলায় তাঁর মা-বাবার বিচ্ছেদের পর দুজনকেই আলাদা সংসার পাততে দেখেছিলেন জিনাত। একটু বড় হতেই ভারতে চলে আসেন কেরিয়ার তৈরি করতে। মডেলিং-এর মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করলেও রাজ কাপুর (Raj kapoor) নির্মিত ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ জিনাতকে সর্বাধিক পরিচিতি দেয়। ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’-এ প্রশংসিত হয় জিনাতের অভিনয়। কেরিয়ারে চূড়ান্ত সফল হলেও জিনাত পাননি তাঁর কাঙ্খিত ভালোবাসা।
সিমি গারওয়াল (Simi Grewal)-এর চ্যাট শো ‘রঁদেভু’-তে এসে জিনাত সরিয়েছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের উপর থেকে পর্দা। স্বামী মজহার খান (Mazhar Khan)-এর শেষকৃত্যে তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জিনাত। 1985 সালে মজহারের সঙ্গে জিনাতের বিয়ে হয়। মা হতে চেয়েছিলেন জিনাত। এই কারণেই বিয়ে করেছিলেন মজহারকে। কিন্তু অত্যন্ত রক্ষণশীল মজহার স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে বেরোতে দিতে চাইতেন না। ফিল্ম জগৎ থেকে দূরে সরে যেতে হয়েছিল জিনাতকে। এর মাঝেই জন্ম হয়েছিল জিনাতের দুই সন্তান আজান (Azaan Khan) ও জহান খান (Jahan Khan)-এর। কিন্তু এরপর থেকেই জিনাতের উপর অসহনীয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতে শুরু করেন মজহার। বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন জিনাত।
View this post on Instagram
কিন্তু বিবাহ বিচ্ছেদের আগেই কিডনি বিকল হয়ে মারা যান মজহার। বিবাহ বিচ্ছেদ না হওয়ার ফলে মজহারের স্ত্রী হিসাবে জিনাতের অধিকার ছিল তাঁর অন্তিম সৎকারে অংশ নেওয়ার। মজহারের মৃত্যু চাননি জিনাত। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। স্ত্রী হিসাবে মজহারের অন্তিম সৎকারে জিনাত অংশগ্রহণ করতে গেলে মজহারের পরিবারের তরফে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। জিনাতকে মজহারের কবরে মাটি দিতে দেওয়া হয়নি। ফলে মজহারের অন্তিম সৎকারে উপস্থিত থাকতে পারেননি জিনাত।
View this post on Instagram